কলকাতা, ২৩ নভেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নিলেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।
মঙ্গলবার তিনি টুইটার ও ফেসবুকে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মী নিহত = ১২৩। ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত তৃণমূল কর্মী নিহত = শূন্য। কিন্তু মমতা সহ তৃণমূলের পক্ষ থেকে যা চিৎকার হচ্ছে, তার ডেসিবেল গণনা করুন! প্রায় পুরো আকাশ যেন ভেঙে পড়েছে! উপলব্ধিটাই বিষয়! চিৎকার একটা পার্থক্য!“
সওয়া ১১টায়, পোস্ট করার ৩৭ মিনিটে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার যথাক্রমে ২৮১, ৬৮ ও ২৬। শুভেন্দু গুছাইত লিখেছেন, “এখানেই আমাদের সঙ্গে ওদের পার্থক্য। প্রতিবাদের মত সিন্ ক্রিয়েশন করতে এখনো আমরা শিখি নি।“ অনির্বান মজুমদার লিখেছেন, “ওরাই আবার ত্রিপুরায় এসে গনতন্ত্রের কথা বলছেন।“ রাজর্ষি সোম লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে ২০০র বেশি বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। নির্বাচনের আগেই তো ১৫০ হয়ে গেছিল।“ গৌতম ঘোষ লিখেছেন, “আরও হবে বলছে জ্যোতিদাদা, ববিদাদারা। জানিনা থামবে কবে কখন কোথায় কিভাবে।“
তথাগতবাবুর বিরোধিতায় বিনয় চক্রবর্তী লিখেছেন, “আমাদের পাড়ার অদূরে একটি বস্তি আছে, তাদের সাথে পাড়ার কেউই পেরে ওঠেনা! এটাকে কি দুর্বলতা বলা হবে! যারা যারা এবারের রেজাল্টের জন্য, বিজেপি নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করে যাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলি। মনে রাখবেন পাকিস্তানের মাটিতে হিন্দু হয়ে বেঁচে থাকার থেকেও কঠিন কাজ পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিরোধী দল করা! যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ ও কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আত্মবলিদানের বিনিময়ে আজ বিজেপি এতগুলো সিট দখল করলো তাদেরকে সম্মান করুন।
নেতৃবৃন্দ শক্ত মনের নাকি দুর্বল মনের অধিকারী সেটা কি ভাবে বিচার হবে!! কাজ দেখেই বিচার হবে নিশ্চয়ই!! তাহলে বলি ২০১৫-র আগে বাংলায় বিজেপি বলতে কি ছিল আর আজ বাম-কংগ্রেসকে সম্পূর্ণ মুছে দিয়ে ১০.৮ থেকে ৩৮.২% হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপি! সাংসদ-বিধায়ক মিলে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে সেরা বিরোধী শক্তি! শুধুমাত্র মুসলিম ভোট ভাগ না হওয়ার কারণেই বেগম আজ ক্ষমতায়!
সমালোচনা জরুরী কিন্তু সেটা যেন গঠনমূলক হয় সেটাও দেখতে হবে। অহেতুক দোষারোপ কাজের কথা নয়। তৃণমূলের অসভ্যতামি, কোনো অবস্থাতেই যেন আর কোনো দলের কাছে অনুকরণীয় বিষয় হয়ে না দাঁড়ায়!! জাস্ট ভাবুন ভারতবর্ষের সব দল এটাই করতে শুরু করে দিলো!! ঈশ্বর রক্ষা করুন, মৃনতুল দলের শেষটা যেন ত্বরান্বিত হয়, আমাদের দেশ ও সংস্কৃতি যেন রক্ষা পায়।“ শেখ জিয়ারুল লিখেছেন, “বুড়ো দাদু আপনার এত অপমান করছে দিলীপ কাকু তবুও আপনি এই সব পোস্ট করছেন?“ অভিষেক চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “পাগলা দাশু ফিরিয়া আসিয়া প্রমাণ করিল সে ছাড়িয়া যায় নাই!“

