আগরতলা, ১৭ নভেম্বর (হি. স.) : উত্তর পূর্বাঞ্চলের আর্থ সামাজিক মানোন্নয়ন ও সর্বাঙ্গীন বিকাশে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ত্রিপুরায় লেম্বুছরা স্থিত ফিসারী কলেজে প্রদর্শনী, মত বিনিময় ও সম্প্রসারিত পরিকাঠামোর উদ্বোধন করে দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তাঁর কথায়, এই অঞ্চলের উন্নয়ন সাধনে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত পথে কৃষক হিতৈশী নীতির মাধ্যমে গুচ্ছ পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও সমস্ত স্তরের কৃষকদের সুবিধার্থে ১০ হাজার এফপিও স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রায় কাজ চলছে। অর্থকরি ও লাভজনক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার অন্যতম লক্ষ্য কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের মানোন্নয়ন। তাঁর দাবি, বর্তমান সরকারের সময়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তার সঠিক প্রতিফলন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তবে বিগত সরকারের সময়ে অনেকাংশেই বরাদ্দকৃত অর্থ, যথাযথ রূপায়ণে প্রকৃত প্রতিফলন পাওয়া যেতো না, ক্ষোভের সুরে বলেন তিনি। তাঁর মতে, দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্রোতে উত্তর পূর্বাঞ্চল এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং সমস্যা নির্মূলীকরণে পূর্বাঞ্চল সফর করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। স্মার্টআপ সহ প্রাথমিক ক্ষেত্রে যুব উদ্যোগীরা আধুনিক ভাবনায় সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কৃষি নির্ভর বড় শিল্প বিকাশের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অধীনে,১১ কোটিরও বেশি কৃষককে সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, রাজ্য সরকার ত্রিপুরায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্যও ভাল কাজ করেছে এবং এই দলগুলি ৪ হাজার থেকে ২৬ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আজ দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন, এক সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশের কৃষকরা। দুর্যোগ বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কৃষি নির্ভর অর্থনীতির। যা কোভিড অতিমারীর সময়ে আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়েছে।