কলকাতা, ১৬ নভেম্বর (হি. স.) : পুরভোটে বাবুল সুপ্রিয়কে কলকাতার মেয়র পদপ্রার্থী করার তৃণমূলের জল্পনা নিয়ে সাত সকালেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, ‘‘বাবুলকে কিছুই দেবে না তৃণমূল, এখন ঝুনঝুনি দিচ্ছে। কারণ বাবুল কলকাতার ভোটার নন।’’
বিজেপি-তে থাকার সময়ও বাবুল-দিলীপ সংঘাত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। দল ছাড়ার পর সে কথাও গোপনও করেননি বাবুল। কিন্তু দেখা গেল, দল বদলেও সংঘাত মিটল না। সাম্প্রতিকতম বিতর্কের শুরু একটি জল্পনাকে ঘিরে। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন কলকাতা পুরভোটে বাবুল সুপ্রিয়কে মেয়র পদের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে পারে তৃণমূল। এ বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের তালিকাকেও নাকি রয়েছে বাবুলের নাম। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূল কিছুই দেবে না। এখন ঝুনঝুনি দিচ্ছে।’’ পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কলকাতায় কবে কাজ করেছেন বাবুল? তিনি তো কলকাতার ভোটারও নন।’’
পাল্টা দিলীপ ঘোষকে ‘বঙ্গ রাজনীতির অজন্তা সার্কাস’ বলে অভিহিত করে বিজেপি-র বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে টেনে বাবুলের কটাক্ষ, ‘‘সুকান্তর জন্য দুঃখ হয়, যে ওঁকে এই অর্বাচীন ভাঁড়টিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হয়। আর ওঁর আমাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন? কই আমি তো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওঁকে নিয়ে কখনও কিছু বলি না!’’ দিলীপবাবু কটাক্ষ করেছিলেন একদা দলীয় সতীর্থকে। বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল বাবুলকে কিছুই দেবে না। এখন ঝুনঝুনি দিচ্ছে।’’ প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাবুল কলকাতার জন্য কী করেছেন? পত্রপাঠ তার জবাব দিলেন বাবুল। চাঁচাছোলা ভাষায় দিলীপবাবুকে আক্রমণ করে বাবুল বললেন, ‘‘প্রায় সম্পূর্ণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। তাতে আমার সামান্য অবদান কী, তা ওঁর জানার কথা নয়। পুরো রুটটা চালু হলে ফ্রি-তে একটা ‘ডে টিকিট’ দেব ওঁকে। ঘুরে দেখে আসবেন।’’ দিলীপবাবুকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন বাবুল। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উনি বাঙালি কাঁকড়ার উৎকৃষ্টতম উদাহরণ। ভোটের সময় ‘দাদার কীর্তি’-র কথা নিচুতলার কর্মীরা জানেন। তাই বিজেপি-র বৈঠকে দলের কর্মীরাই ওঁকে ‘গো-ব্যাক’ বলেছেন, মারামারি করেছেন।’’