কলকাতা, ১৬ নভেম্বর (হি. স.) : নোটবন্দীর পাঁচ বছরপূর্তিতে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ফের মুখর হয়েছিলের বিরোধীরা। মঙ্গলবার বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি টুইটে জানালেন দিলীপ ঘোষ, বহুগুন বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন।
টুইটারে তিনি দলের গ্রাফ টুইট করে লিখেছেন, “ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভারতীয় অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করেছে। ডিজিটাল লেনদেনের মূল্য ২০১৬ সালে ছিল মাত্র ৬৯ বিলিয়ন টাকা। ২০২০-’২১ সালে তা ৪১,৩০৬ বিলিয়ন টাকায় বেড়েছে। রূপে কার্ডে লেনদেন ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে যেখানে ছিল ২৮৯ পিওএস (পয়েন্ট অফ সেল অর্থাৎ বিক্রয়কেন্দ্রে), সেখানে ২০২০-‘২১-এ তা হয়েছে ১ হাজার ১৬৯।“
এদিকে, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে মানুষের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সরকারের। সোমবার সন্ধ্যায় দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে বৈঠকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন এ রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পরিকাঠামো এবং শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রাজ্যের মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া এবং অর্থনীতিকে সচল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেই কথা তুলে ধরেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে বলেন, “রাজ্যগুলির অবস্থান ভাল হলে তবেই দেশের সার্বিক অবস্থা ভাল হবে, এবং সেটাই কাঙ্ক্ষিত। মানুষের হাতে টাকা পৌঁছনো খুবই জরুরি। না হলে অর্থনীতির চাকা মসৃণভাবে ঘুরতে পারবে না। এখন মানুষের হাতে টাকা পাঠানোর মতো পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে কেন্দ্রকে। শুধুমাত্র নির্বাচনী চমক দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বললে চলবে না।” রাজ্য জানিয়েছে, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে অক্টোবর মাসে। পরিযায়ী শ্রমিক ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ এখনও শিল্প কারখানাগুলি তাদের কাজ দিতে পারছে না। গত অর্থবর্ষের তুলনায় জিডিপি ২৪.৪ শতাংশ হলেও চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২০.১ শতাংশ হয়েছে। যেটা কখনওই আশাব্যঞ্জক হতে পারে না। এমনকি ব্যক্তিগত ক্রয় ক্ষমতা ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় এখন অনেকটাই কম।

