গান্ধীজীর মুসলিমপ্রীতির সমালোচনায় তথাগত রায়

কলকাতা, ১৫ নভেম্বর (হি. স.) : “গান্ধীজির যত অহিংসার বাণী ছিল শুধু হিন্দুদের জন্য। মালাবারের (১৯২১) বা নোয়াখালির (১৯৪৬) হিন্দু গণহত্যার ব্যাপারেও তিনি মুসলমানদের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছিলেন।“

সোমবার টুইটারে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। তিনি লিখেছেন, “শিয়ালদার শ্রদ্ধানন্দ পার্ক আমরা সবাই চিনি। কিন্তু যে মহাপুরুষের নাম এই পার্কের নামকরণ হয়েছিল তাঁর কথা ক’জন জানি? স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ছিলেন আর্য সমাজের পুরোধা, ‘শুদ্ধি’ আন্দোলনের স্রষ্টা, যার মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হিন্দুদের হিন্দুসমাজে ফিরিয়ে আনবার এক প্রথা তিনি প্রবর্তন করেছিলেন। এই ভাবে উত্তরপ্রদেশের মালকান রাজপূত সম্প্রদায়ের ১,৬৩,০০০ ধর্মান্তরিত হিন্দুদের তিনি হিন্দুসমাজে ফিরিয়ে এনেছিলেন।

সত্তর বছর বয়সে যখন তিনি রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন তখন আবদুল রশিদ নামক এক আততায়ী তাকে গুলি করে হত্যা করে। আশ্চর্যের বিষয়, গান্ধীজি এই রশিদকে ‘আমার প্রিয় ভাই’ বলে সম্বোধন করতেন এবং তার এই কুকীর্তির নিন্দা করতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু একই সময় যখন বিপ্লবী গোপীনাথ সাহা এক ইংরেজ রাজপুরুষকে গুলি করে মারেন তখন তাঁর সপক্ষে গান্ধীজি একটি কথাও বলেন নি।“

প্রসঙ্গত, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬ – ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬), একমাত্র হিন্দু সন্ন্যাসী যিনি জাতীয় সংহতি এবং বৈদিক ধর্মের জন্য প্রধান জামে মসজিদের মিনার থেকে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন, বেদমন্ত্র পাঠের মাধ্যমে তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি হিন্দী এবং উর্দু উভয় ভাষায় ধর্মীয় বিষয়ে লিখেছেন। তিনি দুটি ভাষায় সংবাদপত্রও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি দেবনাগরী লিপিতে হিন্দি প্রচার করেন, দরিদ্রদের সাহায্য এবং নারী শিক্ষার উন্নতি করেন। ১৯২৩ সালের মধ্যে, তিনি সামাজিক অঙ্গন ত্যাগ করেন এবং পূর্ববর্তী শুদ্ধি আন্দোলনের (হিন্দু ধর্মে পুনরায় ধর্মান্তরন) কাজে নিবিষ্ট হন, যার কারণে তিনি হিন্দুধর্মের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হন। ১৯২২ সালে, ড. আম্বেদকর শ্রদ্ধানন্দকে “অস্পৃশ্যদের মাঝে শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে আন্তরিক বীরপুরুষ” বলে অভিহিত করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *