নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ নভেম্বর৷৷ ধলাই জেলার কমলপুরের হালাহোলি গ্রামে প্রতিবেশী ডাক মামা ডেকে নিয়ে এক নাবালিকা সুকল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে৷ লোকলজ্জার ভয়ে ওই নাবালিকা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে৷ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ভাইরাল হতেই কমলপুর মহকুমা জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷এবিভিপি ছাত্র সংগঠন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে৷ধলাই জেলার কমলপুরের হালাহোলি গ্রামে গত ৪ নভেম্বর কালী পূজার দিন রাতে এক নাবালিকা সুকলছাত্রীকে প্রতিবেশী মামা ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে৷ ধর্ষককারীর নাম সৌরভ শীল৷ পিতা দিলীপ শীল৷ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
শুক্রবার সকালে এবিভিপি সংগঠনের ছাত্র ছাত্রীরা হালহুলি গ্রামে ধর্ষক সৌরভ শীলের বাড়িতে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সৌরভ শীলের পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভের মুখে পড়ে৷ পুলিশ গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে দুই এবিভিপি সংগঠনের ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসলে এবিভিপি ছাত্র সংগঠন কয়েক ঘন্টা থানা ঘেরাও করে রাখে৷ এরপর থানা থেকে দুই ছাত্রকে ছেড়ে দিলে থানা ঘেরাও মুক্ত হয়৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায়, আমবাসা মহকুমার চন্দ্রাইছড়া এলাকার নাবালিকা মেয়ে কমলপুরের হালহুলি গ্রামে মামা ননী শীলের বাড়িতে থেকে কৃষ্ণ চন্দ্র বালিকা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো৷
গত ৪ নভেম্বর কালী পূজার রাতে কমলপুর থানার অন্তর্গত হালহুলি পঞ্চায়েত সংলগ্ণ গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ শীলের ছেলে সৌরভ শীল পাশের বাড়ির ননী শীলের ভাগ্ণি নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে৷ রাতে ঘটনাটি তার মামা, মামী সহ ফোনে মাকে জানায়৷ এবিষয় নিয়ে নাবালিকা মেয়েটির মা, মামা, মামীরা ছেলের বাড়ির অভিভাবকদের জানালে ছেলের বাড়ির লোকজন উল্টো মেয়ে বাড়ির লোকজনকে ধমক দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়৷ এই ঘটনা জানতে পেরে নাবালিকা মেয়ে পরের দিন অর্থাৎ ৫ নভেম্বর বিষ খেয়ে ফেলে৷ সাথে সাথে বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুলাই জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়৷
তার অবস্থা আরও অবনতি এদিন জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ গত ৭ নভেম্বর জিবি হাসপাতালে মারা যায়৷ এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কমলপুর থানায় সৌরভ শীলের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন মেয়ের বাবা সুজিত শীল৷এই মৃত্যুর ঘটনা ভাইরাল হতেই কমলপুর এবিভিপির ছাত্র ছাত্রীরা ধিক্কার জানিয়ে শুক্রবার ধর্ষক সৌরভ শীলের বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গেলে সৌরভের পরিবারের সদস্যরা লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে বলে এবিভিপি ছাত্র সংগঠন থেকে অভিযোগ করা হয়৷ এদিকে ধর্ষক সৌরভের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, এবিভিপির ছাত্ররা বাড়িতে এসে হামলা চালায়৷ এরজন্য পুলিশ দু’জনকে ধরে নিয়ে যায়৷