নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ধর্মনগর/ আমবাসা, ১২ নভেম্বর৷৷ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলের প্রচার তুঙ্গে উঠছে ঠিক তেমনি হিংসাত্মক কার্যকলাপ মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আগরতলা পুরো নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ও প্রচার সজ্জা নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে৷আগরতলা পুর নিগমের
৩৩ নং ওয়ার্ড বটতলা বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার শয্যা নষ্ট করে দিল দুষৃকতীরা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে থানায় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ফেস্টুন ও অন্যান্য প্রচার সজ্জা নষ্ট করে দেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার সুবল ভৌমিক বলেন এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার সজ্জা , ফ্ল্যাগ ফেস্টুন ইত্যাদি নষ্ট করে দিয়ে এবং পুড়িয়ে দিয়ে মানুষের ভোট রাখা যাবে না৷
রাজ্যের জনগণকে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন বলে তিনি জানান৷ বিজেপিতে বর্তমানে সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন নেতা ও কর্মী নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন৷ সে কারণেই বিরোধী দলের প্রচার শয্যা নষ্ট করে দেওয়ার এর ধরনের নোংরা চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ এসব কাজে যারা জড়িত তাদেরকে সমাজবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার সুবল ভৌমিক৷ প্রসঙ্গক্রমে সুবল বাবু আরো বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর যখন রাজ্য সফরে আসেন তার আগে আগরতলা শহরের সর্বত্র ফেস্টুন ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল৷ কিন্তু এইসব সমাজ দ্র হীরা সবকিছু তুলে নিয়ে গেছে৷
এদিকে, ধর্মনগর পুর পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রার্থী মানুষী মালাকারের স্বামীর উপর আক্রমণ এবং তার বাড়ির উপর হামলা করে, ভাঙচুরের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন প্রার্থী মানসী মালাকার৷ গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই ধর্মনগরে আট জন প্রার্থীকে নিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বাইক এবং গাড়ি রেলি হয়৷শহর পরিক্রমা শেষ করে যখন যখন রেলিটি বটরশি অর্থাৎ ২৩ নং ওয়ার্ডে পৌঁছায় তখন খবর আসে ১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মানসী মালাকারের বাড়িতে কিছু সংখ্যক দুষৃকতী আঘাত হেনেছে৷ সেখান থেকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি রূপময় ভট্টাচার্য সহ কংগ্রেস দল এখানে রেলি সমাপ্ত করে সরাসরি থানায় চলে আসে৷ থানায় ওসির অসভ্য আচরণ এবং থানার ভেতরে কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের সদস্যরা৷ এদিকে দুসৃকতিকারীরা মানসী মালাকারের বাড়ির ঠাকুর ঘর ভেঙ্গে দেয়৷আজ অর্থাৎ শুক্রবার মানসী মালাকার এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের মুখাপেক্ষী হয়৷সে দাবি জানায় ভারতবর্ষে থেকে যদি হিন্দুর ঠাকুর ঘর ভেঙে দেওয়া হয় তবে তার জবাব কে দেবে?াজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় কারণ শাসক দল পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলেছে সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন উত্তর জেলা জাতীয় কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রূপময় ভট্টাচার্য৷
এদিকে, আমবাসা পুর পরিষদ এলাকায় বিরোধীদলের প্রচার শয্যা নষ্ট করে দেওয়া এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷তাতে সাধারণ মানুষের মনেও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ আমবাসা পুর পরিষদের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গোটা আমবাসা পুর পরিষদ এলাকা৷ প্রায়ই ঘটে চলছে বিভিন্ন সন্ত্রাস৷ ইতিমধ্যেই আমবাসা পুর পরিষদের ১১ নং ওয়ার্ডে বিজেপির প্রচার সজ্জা নষ্ট করে দিয়েছে দুষৃকতিকারীরা৷ গতকাল সন্ধ্যা রাতে ২ নং ওয়ার্ডে বিজেপি সমর্থিত একটি বাড়িতে দুসৃকতিকারীরা ইট-পাটকেল দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে৷ শুক্রবার পুনরায় ১১ নং ওয়ার্ড এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত এক ব্যাক্তির জমির ফসল নষ্ট করে দেয় কে বা কারা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা এবং আমবাসা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনার তদন্তে এলাকায় পৌছে৷ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘিরে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ ভোট পর্ব অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করার জন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো দাবি উঠেছে৷