নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ নভেম্বর৷৷জিবিপি হাসপাতাল ও আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিল সভাগৃহে আজ জিবিপি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির গভর্নিংবডির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির চেয়ারম্যান তথা কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক৷ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী তথা সদস্যসচিব ডা. শংকর চক্রবর্তী, আগরতলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কে কে কুণ্ডু, ডেপুটি এম এস ডা. শিবপদ চক্রবর্তী, ডেপুটি এম এস ডা. বিশ্বজিৎ সূত্রধর ও সমিতির অন্যান্য সদস্য ও সদস্যাগণ৷
সভায় সমিতির কার্যনির্বাহী তথা সদস্যসচিব ডা. শংকর চক্রবর্তী জিবিপি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির গত বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের স্টেটাস রিপোর্ট ও আগামী দিনের স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পসারণের জন্য ১১টি প্রস্তাব সভায় পেশ করেন৷
সভায় জিবিপি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জানান, আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবি হাসপাতালে একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হবে৷ তাছাড়া জিবি হাসপাতালের রোগীর জন্য শেল্টার হাউজও নির্মাণ করা হবে৷ গড়েতোলা হবে স্থায়ী পার্কিং জোন৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে গত ৮ সেপ্ঢেম্বর রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিল তার প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷
আগামী দিনে আরও কিছু কাজ করার জন্য আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, নিউরো সার্জারি থেকে শুরু করে হৃদরোগ, অর্থোপেডিক, কিডনীর জটিল সমস্যা আজ আমাদের জিবি হাসপাতালেই সমাধান করা যায়৷ এর বাইরে পেস মেকার বসানো, এনজিওগ্রাম করা, প্রত্যেক দিন বিভিন্ন অপারেশন এই হাসপাতালেই হচ্ছে৷ গত ৭ সেপ্ঢেম্বর রোগী কল্যাণ সমিতি এবং সরকারি ডাক্তার এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ১৫ জন রোগীকে বিনামূল্যে ডায়ালিসিস করা হয়৷ বেসরকারি হাসপাতালে তা করতে গেলে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হতো৷ তিনি বলেন, পেস মেকার বসানোর জন্য কিংবা এনজিও গ্রাম করার জন্য বা হার্ট-এর চিকিৎসার জন্য কোনও রোগীকে যাতে রাজ্যের বাইরে বা বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে না হয় সেদিকে রাজ্য সরকারের নজর রয়েছে৷ তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর জন্য আমরা অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি৷ এখন জিবি হাসপাতালে চিকিৎসকগণ, নার্স, ছাত্রছাত্রী ও প্যারামেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি টিম ওয়ার্ক শুরু হয়েছে৷ এর সুুবিধা নেবার জন্য তিনি রাজ্যের রোগীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন৷