নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ নভেম্বর৷৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে ভারতের বিশেষ অবদান রয়েছে৷ এ জন্য ভারতের অনেক বীর সেনা জওয়ানকে আত্মবলিদান দিতে হয়েছে৷ আজ শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত স্বর্ণিম বিজয় মশাল স্বাগত সমারোহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রহিতে আত্মোৎসর্গ করেছেন এমন বীর সেনাদের পরিবার এবং দেশমাতৃকার সেবায় অসামান্য অবদানরক্ষাকারী কয়েকজনকে এই অনুষ্ঠানে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন৷
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের আক্রমণের নিশানা থেকে আগরতলা শহরকে রক্ষা করতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন ল্যান্সনায়েক অ্যালবার্ট এক্কা৷ মরণোত্তর পরমবীরচক্র সম্মানে ভূষিত অ্যালবার্ট এক্কার পুত্রকেও আজকের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সম্মাননা জ্ঞাপন করেন৷ এই বীর সন্তানের পরিবারকে সম্মাননা স্বরূপ এক লক্ষ টাকার অর্থরাশি প্রদানের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের গৌরবময় বিজয় স্মরণ স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে নয়াদিল্লি থেকে সূচনা হওয়া স্বর্ণিম বিজয় মশালকে রাজ্যে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানান, অ্যালবার্ট এক্কার নামাঙ্কিত পার্কটির আধুনিকীকরণের কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হচ্ছে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দেব বলেন, মাতৃতান্ত্রিক ভারতে মহিলাদের অবস্থান সম্মানজনক৷ পুরুষদের মতো মহিলাদেরও সমস্ত ক্ষেত্রে সমানাধিকার, নিরাপদ, যথোপযুক্ত পরিবেশ ও স্বনির্ভর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ৷ মহিলাদের স্বাধীনতা প্রদানে সেনা পরিবারের ভূমিকা প্রশংসনীয়৷
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের গৌরবময় বিজয় স্মরণ স্বরূপ এই স্বর্ণিম বিজয় মশাল যাত্রার সূচনা হয়েছে৷ ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে নয়াদিল্লি থেকে স্বর্ণিম বিজয় মশাল রাজ্যে এসে পৌঁছেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নানা সময়ে ভারতীয় সেনারা নিজেদের দক্ষতা, রাষ্ট্রপ্রেম এবং সাহসিকতার নজির রেখেছেন৷ এ সবের মধ্যে কারগিল যুদ্ধ বা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হচ্ছে অন্যতম দৃষ্টান্ত৷ মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, স্বর্ণিম বিজয় মশাল স্বাগত সমারোহ অনুষ্ঠান নবপ্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগরণে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে৷
তিনি বলেন, ভারতীয় সংসৃকতি হল বৈচিত্রে্যর মধ্যে ঐক্যের সমারোহ৷ এই সংসৃকতি সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে৷ অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্র ভবন চত্বরে আয়োজিত সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্য অতিথিগণ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫৭ মাউন্টেন আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নীলেশ চৌধুরী৷