Amending the ordinance : বিধায়কদের দল ছাড়ার প্রবণতা রুখতে রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধনী আনছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ নভেম্বর৷৷ বিধায়ক হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে ন্যুনতম একটি মেয়াদকাল সম্পূর্ন করতে হবে৷ আজ মন্ত্রিসভা আইনে সংশোধন এনে অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ছয় মাসের ভিতরে ওই বিল বিধানসভায় পেশ করবে ত্রিপুরা সরকার৷


এ-বিষয়ে আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভায় যারা বর্তমানে সদস্য রয়েছেন বা যারা ভবিষ্যতে বিধানসভার সদস্য হবেন তাঁকে বিধায়ক পদে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য ন্যূনতম একটি মেয়াদকাল সম্পূর্ণ করতে হবে৷ এ-বিষয়ে আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনে সংশোধনী এনে অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ তথ্য মন্ত্রীর কথায়, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরবর্তী সময়ে সেই বিধায়ক যদি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বিধানসভার সদস্য হয়ে আসতে না পারেন তাহলেও তিনি তাঁর বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা, ভাতা বা পেনশন পাবেন৷ তিনি জানান, বিগত সরকারের সময় নিয়ম ছিলো কেউ যদি ৪ বছর তার বিধায়ক পদে বহাল থাকেন এবং পরবর্তী সময় নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিধানসভার সদস্যপদ ধরে রাখতে না পারেন তবুও তাঁর সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা, ভাতা এবং পেনশন ভোগ করতে পারতেন৷


এদিন তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর সেই আইনে সংশোধন আনা হয়েছিলো এবং নতুন আইনে একদিনের জন্য বিধায়ক থাকলেই বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধার সংস্থান ছিলো৷ আজ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তক্রমে সেই আইনে আরও সংশোধন করা হয়েছে এবং অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ নতুন আইনে বিধায়কদের বিধায়কপদে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ন্যূনতম একটি মেয়াদকাল সম্পূর্ণ করতে হবে৷ তারপর তিনি নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিধানসভার সদস্য নাও হতে পারেন তবুও তিনি বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন৷
প্রসঙ্গত, আইনে ওই সংশোধনী দলত্যাগী নতুন বিধায়কদের সমস্যায় ফেলবে৷ তাঁরা বিধায়ক পদে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বাদ পরবেন৷ ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আইপিএফটি-র বৃষকেতু দেববর্মা এবং বিজেপির আশীষ দাস দলবদল করেছেন৷ তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন ইতিমধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়েছে৷ অবশ্য, এখনো তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি৷ কিন্ত, আইন সংশোধনের অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পর তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হলে তাঁরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বাদ পরবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *