নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর।। চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মিছিল ও ডেপুটেশন আটকে দিয়েছে পুলিশ।পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক-শক্ষিকারা মুখ্য সচিবের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে তাদের আটকে দেওয়া হয়। চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আবারো স্তব্ধ করে দিলো পুলিশ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারা আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে থেকে মিছিল করে সার্কিট হাউজের সামনে সমবেত হওয়ার কথা ছিল।
পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ নিরাপত্তাকর্মী সিটি সেন্টারের সামনে জমায়েত করা হয়। চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা যখন মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে মিছিল না করার পরামর্শ দেন।এমনকি সেখানে মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই সিটি সেন্টার এর সামনেই চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের নেতারা দাস তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি অভিযোগ করেন বেশ কিছুদিন ধরেই তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্য সচিবের কাছে ডেপুটেশন প্রদানের জন্য অনুমতি চেয়ে আসছিলেন।
কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের তরফ থেকে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাতে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠন জানতে চায় রাজ্যে কি জরুরি অবস্থা চলছে? সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন কালে চাকুরীরত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজ্য সরকারকে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।এখনো পর্যন্ত১০৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকের পরিবারে ডাই ইন হার্নেস প্রকল্পে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। মৃতদের পরিবারের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলেও চাকরিচ্যুত সংগঠনের নেত্রী ডালিয়া দাস উল্লেখ করেন। প্রায় ১৭ মাস ধরে তারা চাকুরিচ্যুত।
ব্যাংকের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা অর্জন করতে চাইছে তাদেরকেও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দিচ্ছে না। সর্বত্র সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। বেশ কয়েক জন চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকার বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করতে চায় এবং সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি সনদ তুলে দিতে চায়। এই সুযোগ টুকু পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না বলে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।