নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ আগস্ট।। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ঋষ্যমুখ ব্লক এলাকায় গৃহনির্মান প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি প্রকল্পে ঘর না দিয়েই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। দুর্নীতির আতুড় ঘরে পরিণত ঋষ্যমুখ ব্লক। রেগা হোক বা সরকারি অন্যান্য প্রকল্প হোক, সব কিছুতেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। অভিযোগ এবার সরকারি আবাসন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে ঋষ্যমুখ ব্লকে। আবাসন প্রকল্পে ঘর না পেয়েও, সাড়াসীমা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিচ্ছে আবাসন প্রকল্পে পাকা ঘর পেয়েছে হত দরিদ্র শেখ আহাম্মদ। এই কথা শুনে থ বনে যায় শেখ আহাম্মদ সহ তার স্ত্রী। ঘরের জন্য বার বার ঋষ্যমুখ ব্লকে আবেদন করলেও সাড়াসীমা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয় সরকারি আবাসন প্রকল্পে পাকা ঘর পেয়েছে শেখ আহাম্মদ।
সাড়াসীমা গ্ৰাম পঞ্চায়েত, ঋষ্যমুখ বিধানসভা ব্লকের অধীন। সরকারি আবাসন প্রকল্প নিয়ে উঠছে নানা রকমের দুর্নীতির অভিযোগ। শাসক বিজেপি দলের পরিচালিত এই গ্ৰাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেখ আহাম্মদ সরকারি আবাসন প্রকল্পে পাকা ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন জানায় ঋষ্যমুখ ব্লকে। কিন্তু আবেদন করার দশ থেকে বারো দিনের পর , সাড়াসীমা গ্ৰাম পঞ্চায়েত থেকে কিছু লোক এসে বর্তমান যে টিনের ঘরে বসবাস করছে শেখ আহাম্মদ সেই ঘরের ছবি তুলে নিয়ে যায়। ঘরের ছবি নিয়ে যাওয়ার কিছু দিন পরেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ থেকে শেখ আহাম্মদকে জানিয়ে দেওয়া হয় পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। এই কথা শোনার পর আবারো ঋষ্যমুখ ব্লকে সরকারি আবাসন প্রকল্পে ঘরের জন্য আবেদন করে পরিবারটি। আবেদন করার কিছু দিন পর সাড়াসীমা গ্ৰাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে আবারো কাগজ ধরিয়ে দেয় যে ,শেখ আহাম্মদ সরকারি আবাসন প্রকল্পে পাকা ঘর পেয়ে গেছে । আবাসন প্রকল্পে ঘর না পেয়ে ঘর দেওয়া হয়েছে এই কথা শুনে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভে প্রকাশ করে শেখ আহাম্মদের স্ত্রী মানি বিবি । তিনি বলেন আমার ভাঙ্গাচোরা একটি ঘর। আমার স্বামী দিনমজুর। আমাদের কিছুই নেই। ঘর পাই নি অথচ সাড়াসীমা গ্ৰাম পঞ্চায়েত থেকে বলে দেওয়া দা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো যদি শেখ আহম্মদ পাকা ঘর পেয়ে থাকে তাহলে সেই ঘর কোথায় গেল ,আর ঘরের টাকাও বা কোথায় গেল ।বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিচ্ছে। অনেকের অভিমত, শুধুমাত্র শেখ আহমদ নয় ঋষ্যমুখ ব্লকের অধীন এমন আরও গ্রাম পঞ্চায়েত আছে যারা ঘর না পেয়েও, ঘর পেয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। এদিকে শেখ আহাম্মদের স্ত্রী মানি বিবির আরো অভিযোগ, সরকারিভাবেএকটি তিলও পাই নি পরিবারটি । শেখ আহাম্মদের বয়স ষাটোর্ধ্ব । ভাতার জন্য আবেদন করেও বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত । সাড়াসীমা গ্ৰাম পঞ্চায়েতে ভাতার জন্য আবেদন জানানোর পর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নাকি সরাসরি বলে দেয় ভাতা পাবে না ।