Hanging body recovered : রহস্যজনক ভাবে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর, ২৬ আগস্ট।। রহস্যজনক ভাবে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির নাম আনন্দ দাস (৩৬)।মৃত ব্যক্তির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন।অভিযোগের তীর মৃতব্যক্তির ছোট ভাইয়ের দিকে।অভিযুক্ত ছোট ভাই সুজন দাস(২৯) বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।ঘটনা পানিসাগর থানাধীন পূর্ব জলে বাসার কেউরি এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার পানিসাগর থানাধীন পূর্ব জলে বাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের কেউরি এলাকার বাসিন্দা আনন্দ দাস পিতা নিরদ চন্দ্র দাস ও তার ছোট ভাই সুজন দাসের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। গতকাল আনন্দ দাস তার বাবা নিরদ চন্দ্র দাসকে চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কিন্তু বাবাকে হাসপাতাল নিয়ে যাবার পূর্বে মা ঝর্না দাসের সাথে একপ্রস্থ বাকবিতন্ডা করে যায় আনন্দ। চিকিৎসক দেখিয়ে রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ বাবাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে আনন্দ।ঘরে ফিরায় পর নিজ বাবার চিকিৎসার খরচ পাতি নিয়ে বড় ভাই আনন্দ ও ছোট ভাই সুজন দাসের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। তখন স্বামী ও দেবরের ঝগড়া সহ্য করতে না পেরে আনন্দের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অজন্তা দাস পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পাশে ভাসুরের ঘরে চলে যান। কিছুটা সময় কেটে যাওয়ার পর স্ত্রী অজন্তা দাস ঘরে ফিরে দেখতে পান ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তখন আশপাশের লোকজন ও দেবর সুজনকে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পান স্বামী আনন্দ দাস ঘরে ফাঁসিতে ঝুলানো। তড়িঘড়ি ফাঁসি থেকে নামিয়ে পানিসাগর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনন্দ দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রহস্যজনক ব্যাপার হলো, আনন্দ দাসের সমস্ত শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তাতে পরিবারের সকলের সন্দেহের দানা বাঁধে ছোট ভাই সুজন দাসের উপর।আজ মৃত আনন্দ দাসের স্ত্রীর বাপের বাড়ির তরফ থেকে পানিসাগর থানায় অভিযুক্ত ছোট ভাই সুজন দাসের বিরুদ্ধে একটি হত্যার মামলা রুজু করা হয়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পানিসাগর থানার পুলিশ একটি মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্ত ছোট ভাই সুজন দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাছাড়া পুলিশ অভিযুক্ত সুজন দাসকে জুর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গেলেও উক্ত ঘটনাটি ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা এখনো ধোঁয়াশায় মধ্যে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ।পাশাপাশি পানিসাগর থানার পুলিশ মৃত আনন্দ দাসের ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে।