নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ২৪ আগস্ট৷৷ রাজ্যে তৃণমূলী আস্ফালনে এবার শক্তি দেখালো বিজেপি৷ আজ বিলোনিয়ায় ৪২৭ পরিবারের ১৩৯৪ জন সিপিএম ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরের যোগ দিলেন তাঁরা৷ যোগদান সভায় বিপ্লবের দাওয়াই, মন্ত্র হোক একটাই, সব-কা সাথ, সব-কা বিকাশ৷ তাঁর দাবি, সরকার পরিচালনায় নিয়ম, নীতি ও স্বচ্ছ নিয়তকে প্রাধান্য দিয়ে ত্রিপুরাকে ভারতের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ রাজ্যরূপে নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি৷ তার সঙ্গে সমবাদ, স্বভাব ও সদাচার এই তিনটি ’’স’’ কে ব্যক্তি জীবনে লাগু করতে পারলেই সাফল্য আসবে৷
এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারের বিকাশমুখি কার্যকলাপে অনুপ্রানিত হয়ে আজ বিলোনীয়ায় ৪২৭ পরিবারের প্রায় ১৩৯৪ জন সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন৷ আমি নবাগতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি৷ আমার বিশ্বাস, তাদের এই যোগদানের ফলে বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত হবে৷
আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কমিশন আদায় বা রাজনৈতিক বঞ্চনার অভিযোগ এখন নেই৷ কৃষকদের আর্থ সামাজিক মানোন্নয়নে একাধিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ উদ্ভাবনী পন্থায় নানান অর্থকরী ফসল উৎপাদন রোজগারের নতুন দিশা দেখাচ্ছে৷ তাঁর দাবি, স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গিতে দল মতের উদর্ে উঠে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বন্টন প্রক্রিয়া চলছে৷ উন্নত জাতীয় সড়ক, একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন, কিষান রেল, ইন্টারনেট যোগে একাধিক অনলাইনে পরিষেবা ও দিল্লির সাথে বিমান যোগাযোগ সহ উন্নত বিমান পরিষেবার মাধ্যমে প্রধামন্ত্রীর হীরা মডেলের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে৷ তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, সুবিধাভোগী নির্বাচনে দলীয় অফিসে লাইন লাগানোর বদলে বর্তমানে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমাজের সকল স্তরের নাগরিকদের কল্যানে কাজ চলছে৷
তাঁর কথায়, সরকার পরিচালনায় নিয়ম, নীতি ও স্বচ্ছ নিয়তকে প্রাধান্য দিয়ে ত্রিপুরাকে ভারতের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ রাজ্যরূপে নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি৷ তার সঙ্গে সমবাদ, স্বভাব ও সদাচার এই তিনটি ’’স’’ কে ব্যক্তি জীবনে লাগু করতে পারলেই সাফল্য আসবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন স্বরূপ এক সময়ে বহিঃরাজ্যমুখী হওয়া চিকিৎসকরা ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিজেদের যুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন৷ তাঁর দাবি, স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির ফলে কোনো রং বিচার না করেই যোগ্য ব্যক্তিরা সুযোগ পাচ্ছেন৷ কোভিড পরিস্থিতিতে একাধারে অন্নের যোগান ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে টিকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ তিনি জোর গলায় বলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মিছিল মিটিংয়ে সময় অতিবাহিত করার বদলে সবার রোজগার তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷
তাঁর সাফ কথা, মন্ত্র হোক একটাই, সব-কা সাথ, সব-কা বিকাশ৷ আজকের এই যোগদান সভায় আপাতত শাসক শিবিরে চিন্তা কিছুটা কমেছে৷ কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এখনো কমেনি, তার প্রমান আবারও মিলেছে৷ সাথে, রাগ অভিমান, ক্ষোভ-বিক্ষোভ মনে রেখেও বিজেপির প্রতি আস্থা প্রদর্শন আগামী টনিক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

