আগরতলা, ৩ আগস্ট (হি.স.) : ত্রিপুরায় উগ্রপন্থীদের সাথে এনকাউন্টারে বিএসএফের দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ধলাই জেলার ছামনু থানাধীন বিএসএফ ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের আরসি নাথ বিওপি-র জওয়ানরা ভোরে সীমান্তে পেট্রোলিং করার সময় উগ্রপন্থীদের হামলার মুখে পড়েন। তখন বিএসএফ জওয়ানরা পাল্টা গুলি ছুঁড়েন। কিন্তু উগ্রপন্থীদের অতর্কিত হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ান এসআই ভুরু সিং এবং কনস্টেবল রাজ কুমার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো আজ সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ ধলাই জেলার ছামনু থানাধীন বিএসএফ-এর ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের আরসি নাথ বিওপি-র জওয়ানরা ইন্দো-বাংলা সীমান্তে টহল দিচ্ছিলেন। তখন সশস্ত্র উগ্রপন্ত্রীরা বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে হামলা করে। তাঁদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে দুই বিএসএফ জওয়ান এসআই ভুরু সিং এবং কনস্টেবল রাজ কুমার গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে রক্তের ছাপ দেখে নিশ্চিত উগ্রপন্থীরাও আহত হয়েছে। কিন্তু তারা সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। উগ্রপন্থীদের সন্ধানে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ওই দুই জওয়ান উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করে শহিদ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আর কিছু দিনের মধ্যে ত্রিপুরায় সারা দেশের সাথে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে। আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই বিএসএফের কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আজকের এই ঘটনা রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অতীতে ত্রিপুরা উগ্রপন্থার কালো অধ্যায় দেখেছে। বহু নিরীহ মানুষ এনএলএফটি এবং এটিটিএফ জঙ্গিদের গুলির নিশানা হয়েছেন। রক্তে ভিজেছে ত্রিপুরার গ্রাম-পাহাড়। আজকের এই উগ্রপন্থী হামলা আবারও পুরনো দিন মনে করে দিয়েছে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি উগ্রপন্থীদের এধরনের কাপুরুষোচিত হামলা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, জওয়ানদের ওই আত্ম বলিদান বৃথা যাবে না। সারা দেশ বীর শহিদদের সাথে দাড়িয়ে আছে।