It is inappropriate to detain : আই-প্যাকসদস্যদের আটকে রাখা অনুচিত, সুর চড়ালেন মানিক সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই৷৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন৷ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের সদস্যদের পুলিশি নজরদারিতে রাখার ঘটনায় ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তিনি৷ অথচ, গতকালই পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার মানিক দাস নিশ্চিত করেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বহিরাগত নাগরিকদের কোভিড নমুনা পরীক্ষার জন্য একান্তবাসে রাখা হয়েছে৷ আই-প্যাক সংস্থার ওই ২২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে সকলেই মুক্ত হয়ে যাবেন৷
ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের সদস্যরা সমীক্ষার কাজে এসেছেন৷ কেন এই সমীক্ষা সে বিষয়ে পুলিশের কাছে মুখ খুলেননি তাঁরা৷ কিন্তু ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত ইতিমধ্যেই চষে বেড়িয়েছেন, নানা জনের মতামত সংগ্রহ করেছেন, তা ওই ২২ জন সমীক্ষক স্বীকার করেছেন৷ তাঁদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ ওই ২২ জনকে হোটেলে নজরবন্দি করেছে৷ তবে, করোনা পরিস্থিতিতে সারা ত্রিপুরায় হঠাৎ সমীক্ষার কী প্রয়োজন হল তার উত্তর এখনও পায়নি পুলিশ৷


এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ওই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদী হয়েছে৷ মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি সকলেই ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন৷ এখন সেই তালেই সুর মেলালেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ সিপিএম ও তৃণমূলের মতাদর্শগত পার্থক্য বিশাল, তবুও বিজেপি বিরোধী হওয়ায় প্রবীণ সিপিএম নেতা গা ভাসাতে কুণ্ঠা বোধ করেননি৷
মানিক সরকারের কথায়, ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছর সিপিএম শাসন ক্ষমতায় ছিল৷ কখনও রাজনৈতিক দল কিংবা কোনও সংস্থাকে ত্রিপুরা নিয়ে গবেষণায় আপত্তি দেখানো হয়নি৷ বামফ্রন্ট সরকার এবং বাম সরকার পরিচালিত ত্রিপুরা নিয়ে বহু সমীক্ষা হয়েছে৷ কিন্তু কখনও কাউকে পুলিশের ঘেরাটোপে নজরবন্দি করা হয়নি৷ তিনি আজকের পরিস্থিতিকে জঙ্গলের রাজত্বের সাথে তুলনা টেনেছেন৷


তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকার হীনমন্যতায় ভুগছে, তাই সরকারি কাজের সমীক্ষায় ভয় পেয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, শাসক দল জনগণের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে৷ মানুষ এখন তাঁদের সাথে নেই৷ এমন-কি, নির্বাচন সামনে, অথচ নতুন কিছু করে দেখানোর সুযোগও তাঁদের নেই৷ তাই, বহিরাগত সংস্থার সমীক্ষাকে শাসক জোট সহ্য করতে পারছে না৷
সাথে তিনি যোগ করেন, বিরোধীদের কর্মসূচি গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, আমি দলীয় কাজে কোথাও যেতে চাইলে ভিড় একত্রিত করে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনেও আপত্তি তাঁদের৷ এজন্যই আই-প্যাকের সদস্যদের পুলিশ দিয়ে আটকে রেখে হঠকারিতার প্রমাণ দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার, বলেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *