Work culture is rife in the Bilonia : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া উপ-ডাকঘরে কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই।। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া উপ-ডাকঘরে কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠেছে। পোস্ট মাস্টার থেকে শুরু করে বাকি কর্মীদের খামখেয়ালীপনায় পরিষেবা তলানীতে। সাড়ে দশটা এগারোটা বেজে যায় অফিস খুলতে।যার ফলে পোস্ট অফিসে স্বাভাবিক কারণেই মানুষজনের ভীড় জমে যায়।করোনাকালিন পরিস্থিতিতে থাকেনা সামাজিক দূরত্ব। শুধু একদিন নয়, ভোক্তাদের অভিযোগ প্রতিনিয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।সময় মত পোস্ট অফিস খোলা হচ্ছে না।

বিলোনিয়া শহরের একমাত্র ডাকঘর বিলোনিয়া উপ ডাকঘর। ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জয়দেব দাসের খামখেয়ালিপনার কারণে ভোগান্তির অন্ত নেই ভোক্তাদের। মঙ্গলবারও সাড়ে দশটায় অফিসের দরজা খোলা হয়। এর আগে থেকেই দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোক্তারা অপেক্ষা করছেন । অফিস খোলার পর দেখা যায়, না আছে পোস্টমাস্টার, না আছে একাউন্টেন্ড,কেউই নেই। একমাত্র ডাক পিয়নরা তাদের নিজস্ব কাজ করছে। কিন্তু যারা জনসাধারণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত একাউন্টেন্ড সহ সেকশনের কোন লোক নেই।

পোস্টমাস্টার নিজেও নেই। এ বিষয়ে একাউন্ট চেকসান এর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করলে উনিও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। পোস্টমাস্টার জয়দেব দাসকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি উল্টো রাত নয়টা পর্যন্ত কাজ করার অজুহাত তুলেন। কি কারনে আজকে সাড়ে দশটার পরে অফিস খোলা হল,বা প্রতিনিয়ত অফিস দেরি করে খোলা হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে উনি কোনো সদ্উত্তর দেননি। বিলোনিয়ার একমাত্র পোস্ট অফিসের এই ধরনের কান্ড কারখানাকে ঘিরে মহকুমার জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অবিলম্বে পোস্ট অফিসে নিয়মকানুন ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।