নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই৷৷ ত্রিপুরা পুলিশ কর্ণাটকের বাসিন্দা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে সম্প্রতি তেলিয়ামুড়া মহকুমায় সংঘটিত গণপিটুনিতে চারজনের মৃত্যু মামলায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে৷
অভিযুক্তরা হলেন, কর্ণাটকের বাসিন্দা শাকিল হাসান এইচ এবং আগরতলার বাসিন্দা দোস্ত আহমদ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম ডেভলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি শাকিল হাসান এইচ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন যা সাম্প্রদায়িক হিংসা সৃষ্টি করতে পারে৷
আসামিদের বিরুদ্ধে সোনামুড়া থানার এসআই মণি ঋষিদাস অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ তদন্তকারী অফিসার নন্দন দাস থানা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে জাহিদ হোসেনের বাড়ি রাঙ্গামাটিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷
তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে যে শাকিল হাসান এইচ সোনামুড়া সাব-ডিভিশনের তিনজনসহ খোয়াই জেলার কল্যাণপুর থানার নামানজয়বাড়িতে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত জাহিদ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন৷ ভিডিওতে শাকিল হাসান এইচ তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে মিথ্যা প্রচার চালানোর চেষ্টা করছে৷
পুলিশ আরও বলেছে যে, শাকিল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড করা ভিডিওতে সাম্প্রদায়িক হত্যার ঘটনায় হেরফের করার চেষ্টা করছিল কারণ নিহতরা মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত যা ঘটনার প্রকৃত তথ্য না জেনে করা হয়েছে৷৷
হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা প্রচারের চেষ্টা করার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি বিশেষত এই ঘটনার জন্য আরএসএস এবং বিজেপিকে দোষারোপ করছেন বলেও ধারণা৷ শাকিল হাসান এইচ ইচ্ছাকৃতভাবে কল্যাণপুরের পিএস পুলিশ তদন্তাধীন একটি সত্যতার গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতির অপমান করার চেষ্টা করেছে৷ ভিডিওতে তার বক্তব্যটি ওই অঞ্চলে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে শত্রুতা তৈরি এবং এর ফলে পুরো এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
শাকিল ও তার অপর দুই সহযোগী ১৫ জুলাই কর্ণাটক থেকে রাজ্যে এসেছিলেন রাঙ্গামাটিয়ার জাহিদ হোসেন, শ্রীমন্ত পুরের বিল্লাল হোসেন, বরদওয়ালের সাইফুল ইসলাম ও সেলিম মিয়া এর বাড়িতে যান৷
শাকিল হাসান এইচ সহ তার দুই সহকর্মী ও সোনামুড়া থেকে আসা তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ১২০ (৮) / ১৫৩ এ / ১৫৩৮/২৯৫ এ / ৫০৫ (২) আইপিসি এবং (৬৬ (এফ) আইটি আইনে মামলা করা হয়েছে৷

