নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই ।। রাজ্যে মন্ত্রিসভা রদবদলে চূড়ান্ত কাজটিও সেরে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আজ তিনি বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সাথে দেখা করেছেন। রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ নিয়ে সবিস্তারে আলোচনার সাথে মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজানোর বিষয়েও চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে পরিবর্তনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন রাজ্যবাসী। রাজনীতির কারবারী থেকে আদার ব্যাপারী সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আগামী দিন তিনেকের মধ্যে কেমন চমক দেখা যাবে। বহু উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে। অধিকাংশ সময় করোনার তান্ডবে থরহরি কম্পন অনুভব করেছে। অবশ্য করোনার প্রকোপ এখনো থামেনি। তেমনি রাজনীতির সমীকরণ বদলানোও থেমে থাকেনি।
শাসক দলে বিদ্রোহ, শরিক দলকে নিয়ে জটিলতা সমস্ত কিছুই এই তিন বছরের মেয়াদে দেখে ফেলেছেন রাজ্যবাসী। তবে, বিজেপির ভিত নড়ানো সম্ভব হয়নি, তা বিপ্লবের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থাতেই প্রমাণিত হয়েছে। বিদ্রোহী, সংস্কারপন্থী, চমকধারী নাম সর্বস্বই রইল হয়তো। কারণ যতই দৌড়ঝাপ হোক, মন্ত্রিসভার রাস সেই বিপ্লবের হাতেই দিয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
ফলে, তিন দিনের দিল্লি সফর শেষে সম্ভবত প্রফুল্ল চিত্তে আগামীকাল সোমবার রাজ্যে ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই তিন দিনে রাজ্যে রাজনীতির বারান্দায় ভিন্ন ধারার বাতাস বয়ে গেছে। নতুন সমীকরণ, নয়া ভাবনা-চিন্তায় জল্পনা ছিল তুঙ্গে। কিন্ত, আখেরে সমস্ত জল্পনারই অবসান হতে চলেছে। আর মাত্র দিন তিনেকের অপেক্ষা। এরপরই ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে মোক্ষম চাল দেবেন বিপ্লব কুমার দেব। তার ছক হয়ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এঁকে দিয়েছেন। বিপ্লব কুমার দেব শুধু দাবার গুটির চাল দেবেন।
অনেকটা কেন্দ্রীয় মডেলে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভায় রদবদলে কিছুটা পরিবর্তিত চিত্রপট রয়েছে। বিজেপি সুত্রে খবর, নতুন মুখ সম্ভবত তিন জন আসতে চলেছে মন্ত্রিসভায়। তবে, অধ্যক্ষের পরিবর্তন সহ একাধিক বিষয় এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্ত, চোখ জলসানো চমক অপেক্ষা করছে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
আজ সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব লেখেন, দিল্লি সফরে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সাথে দেখা হয়েছে।
আমি তাঁকে জনকল্যানে ত্রিপুরা সরকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সবিস্তারে জানিয়েছি। সাথে বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁকে অবগত করেছি। ফলে বিপ্লব কুমার দেবের সাথে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সাক্ষাতে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে, মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে কিছু লেখেননি ঠিকই। কিন্ত, এ-বিষয়ে সম্মতি আদায়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।