আগরতলা, ১৫ জুলাই : স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিলোনিয়া মহিলা থানার দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিত স্ত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পণের দায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্বামীর বিরুদ্ধে বিলোনিয়া মহিলা থানায় মামলা দায়ের করলেন নির্যাতিতা স্ত্রী।স্বামীর নাম পিনাকী ত্রিপুরা। বাড়ি বিলোনিয়া মহাকুমার চিত্তামারা পুরান বাজার এলাকায়।
দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশি সভায় স্বামী স্ত্রীর ঝামেলা মীমাংসার পরেও কোন সুরাহা না হওয়াতে অবশেষে বাধ্য হয়ে বিলোনিয়া মহিলা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী। জানা যায়, দুই থেকে আড়াই বছর আগে উত্তর সোনাইছড়ির বৃন্দামা টিলার বাসিন্দা রাজমোহন ত্রিপুরার মেয়ে পুষ্পমালা ত্রিপুরার সাথে সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয় পিনাকী ত্রিপুরার । স্বামীর বাড়ির চাহিদা মোতাবেক পনের জিনিস মিটিয়ে দেওয়া হয় । বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই শুরু হয়ে যায় পুষ্পমালা ত্রিপুরার উপর অত্যাচার । এই অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর । প্রায় সময়ই স্বামী পিনাক ত্রিপুরা মদমত্ত অবস্থায় এসে মারধর করে বলে অভিযোগ স্ত্রী পুস্প মালা ত্রিপুরার । কখনো বা জ্বলন্ত সিগারেটের ছেকা, কখনো বা গরম তেল হাতে ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনা পুস্প মালা ত্রিপুরার উপর ঘটেছে ।
স্বামীর সাথে স্বামীর বাড়ির লোকজনেরাও অত্যাচার করে বলে অভিযোগ রয়েছে পুস্পমালার । গত কিছুদিন আগে স্বামী পিনাক ত্রিপুরা মদমত্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে পুস্প মালা ত্রিপুরাকে মারধর করে দশ মাসের কন্যা সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কোন উপায় না দেখে পুস্পমালা ত্রিপুরা উত্তর সোনাইছড়ি বৃন্দামাটিলা বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর পুস্পমালা ত্রিপুরার বাপের বাড়ির লোকজনেরা পুস্পমালার শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করে স্বামী ও স্ত্রীর সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়াস জারি রাখলেও আবারো স্বামীর বাড়ির লোকজনেরা টাকা দাবী করে । অবশেষে স্বামী পিনাক ত্রিপুরার বিরুদ্ধে বিলোনিয়া মহিলা থানায় দ্বারস্থ হয়ে বধু নির্যাতনের মামলা দায়ের করে স্ত্রী পুস্প মালা ত্রিপুরা । স্ত্রী পুস্প মালা ত্রিপুরা স্বামী পিনাক ত্রিপুরার শাস্তির দাবি করেছে প্রসাশনের কাছে । ভবিষ্যতে আর কোনো ফোন যাতে এ ধরনের নির্যাতনের শিকার না হতে হয় তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে পুষ্প মালা।