চণ্ডীগড়, ১৫ জুলাই (হি.স.) : আগামী বছরের গোড়াতেই বিধানসভা ভোট। তার আগে দলের মধ্যে বিদ্রোহের আগুনকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট কংগ্রেস হাইকমান্ড। পঞ্জাব কংগ্রেসের ভিতর যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা সামাল দিতে ভারসাম্যের পথেই হাঁটতে চাইছেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিগগির নবজ্যোত সিং সিধুকে পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করতে পারে দল। দু’একদিনের মধ্যেই তা ঘোষণা হয়ে যাবে।
পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেট ওনেপার সিধু। তারপর থেকেই পঞ্জাব কংগ্রেসে অশান্তির সূত্রপাত। ভোটের আগে যা হাইকম্যান্ডের শিরপীড়ার কারণ হয়ে ওঠে। কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন সিধু। কিন্তু রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। তবে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। যিনি বিজেপি থেকে কংগ্রেসে এসেছিলেন। তারপর গত ৪৮ ঘণ্টায় কংগ্রেস নিয়ে উত্সাহব্যঞ্জক ঘটনা ঘটে। রাহুল, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত এমনিতেই পঞ্জাবে অমরেন্দ্র সিংয়ের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
সূত্রের খবর, প্রশান্তের পরামর্শেই সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হতে পারে। তবে অনেকে এও প্রশ্ন তুলছেন, সিধুকে প্রদেশ সভাপতি করা হলেও ক্যাপ্টেন ব্যাপারটা কতটা খোলা মনে মেনে নেবেন? যদি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরেন্দ্র সিং সিধুর বিরুদ্ধে বিরোধিতা চালিয়ে যান তাহলে সরকার আর দল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার যে ফর্মুলাতে সিধুকে প্রদেশ সভাপতি করা হচ্ছে তা মাঠে মারা যাবে। পঞ্জাবে বিজেপির জোট ভেঙে গিয়েছে। শিরোমণি আকালি দল অনেক আগেই তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে। প্রকাশ সিং বাদলের পুত্রবধূ হরসিমরত বাদল পাঁচ মাস আগে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে অকালি দলের সঙ্গে আবার জোট বেঁধেছে মায়াবতীর বিএসপি। নানান সমীকরণে এবার পঞ্জাবের ভোট তাই বেশ রঙিন। তার মধ্যেই প্রদেশের সভাপতি বদলের পথে কংগ্রেস।