আগরতলা, ১৫ জুলাই : চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকদের ব্যাংক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংগঠনের পক্ষ থেকে বড়দোয়ালী গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ১০৩২৩ শিক্ষকরা চাকুরিচ্যুত হয়েছেন। গত ১৬ মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। চাকরিচত শিক্ষকদের পুনরায় নিয়োগের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বর্তমান বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন হলে তাদেরকে চাকুরীতে নিযুক্ত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সরকারে আসার পর চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু তাদের আন্দোলন স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাড়িঘর তৈরি করা কিংবা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে নিয়েছিলেন।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর তাদের সেই ঋণের কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এই জটিল পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। শুধু তাই নয়, গ্যারান্টার দের কাছ থেকে কিস্তির টাকা পেতে নিতে শুরু করেছে ব্যাংক। তাতে সমস্যা আরো জটিল আকার ধারন করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে কারণেই চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিটি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার সামনে কিস্তির টাকা গ্যারান্টার দের কাছ থেকে কেটে না নিতে এবং তাদের উপর চাপ সৃষ্টি না করার জন্য ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করে চলেছেন।
অবিলম্বে ব্যাংক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে চাকরিচ্যুত অসহায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন।