প্রধানমন্ত্রীকে বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, টিকাকরণে সাফল্য, করোনাকালেও অর্থনৈতিক স্থিতি বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হয়েছে

আগরতলা, ১৩ জুলাই (হি. স.) : টিকাকরণে সাফল্য, করোনাকালেও অর্থনৈতিক স্থিতি বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো, প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় ৪৫ উর্ধ্বদের ইতিমধ্যে প্রথম ডোজের টিকাকরণ ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তেমনি করনাকালীন পরিস্থিতিতেও রাজ্যের আর্থিক স্থিতিকে বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, রাজ্যে বর্তমানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ৩ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।


এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেন। তিনি জানান, কোভিড মোকাবিলায় টিকাকরণ অভিযান রাজ্যে দ্রুত গতিতে চলছে। রাজ্যে ইতিমধ্যে ৪৫ বছর উর্ধ্বদের প্রথম ডোজের টিকাকরণ ১০০ শতাংশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৫৪.৫৬ শতাংশ। ১৮ বছর উর্ধ্বদের প্রথম ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৫৬.৪০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ১.৫৫ শতাংশ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ১,১৭৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ রয়েছে। এরমধ্যে ১৮৯টি গ্রামে ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ টিকাকরণ করা হয়েছে। ২০টি নগর সংস্থার মধ্যে ৭টিতে সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে এবং রাজ্যের ২টি ব্লকে সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টিকার মজুত রয়েছে। আরো ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টিকা পাওয়া গেলে ৭দিনের মধ্যে গোটা রাজ্যেই টিকাকরণ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও রাজ্যের আর্থিক স্থিতিকে বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এরজন্য কৃষিসহ প্রাইমারী সেক্টরগুলির উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কার্ফু জারি করায় যে সমস্ত গরিব এবং প্রয়োজন রয়েছে এমন পরিবারগুলিকে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পৌছে দেওয়া হয়েছে। এরকম ৭ লক্ষ পরিবারে স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি খাদ্যের প্যাকেট পৌছানো হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল, ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার, আই সি ইউ বেড, অক্সিজেন যুক্ত বেড ইত্যাদি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যে বর্তমানে ২৯টি ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার বেড ৩,৫২৯টি, অক্সিজেনযুক্ত বেড ১,০২৮টি, ভেন্টিলেটর ১৫৭টি, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ৩টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ১,৭০০টি। রাজ্যে আরোও ২২টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে বলে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানান।