নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই (হি. স.):আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়ায় দেশে ফেরান হল ৫০ জন ভারতে আধিকারিককে। এরা সকলেই আফগানিস্তানের কান্দাহারে ভারতীয় কনস্যুলেটে কর্মরত ছিলেন।
তালিবানিরা যেভাবে শক্তি বৃদ্ধি করছে এবং দক্ষিণ আফগানিস্তানের বেশ কিছু শহরে নতুন করে দখল নিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। শনিবার ৫০ জন আধিকারিক কে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে দিল্লিতে ফেরানো হয়েছে।
মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে না ছাড়তেই তালিবান জঙ্গিরা ফের দেশের দখল নিতে শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তালিবানের তরফে দাবি করা হয়েছে যে দেশের ৮৫ শতাংশ তাদের দখলে চলে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই তালিবানিরা কান্দাহারের ১৩টি জেলা নিজেদের দখলে নেয়। লিবানিদের হাত থেকে বাঁচতে ৩০০-র বেশি আফগান সেনা সীমান্ত পার করে তাজিকিস্তানে শরণ নেন। এই পরিস্থিতিতে পুরো কান্দাহার নিজেদের কব্জায় আনতে মরিয়া তালিবানিরা। তবে এই পরিস্থিতিতেও বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রীংলা দাবি করেছিলেন ভারত আফগানিস্তান থেকে কূটনীতিকদের ফেরাবে না। তবে সেই বক্তব্যের চারদিনের মাথায় শনিবারেই ৫০ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে যাতে আফগানিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় কূটনীতিকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে, কান্দাহারে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিযুক্ত কূটনীতিক, সহযোগী কর্মী এবং আইটিবিপি জওয়ানদের দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় আফগানিস্তান থেকে। দক্ষিণ কান্দাহার এবং হেলমন্দের কাছে প্রচুর লস্কর জঙ্গি জঙ্গি থাকার কারণেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল বলে মনে করা হচ্ছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীদের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে তালিবানদের সঙঅগে মিলে ৭০০০ লস্কর জঙ্গি আফগানিস্তানে লড়াই করছে সেনার বিরুদ্ধে।
কান্দাহারের আশপাশের সাতটি জেলা দখলের পর গত শুক্রবার কান্দাহার শহরে ঢুকেছে তালেবান। শনিবার পর্যন্ত আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয় তালিবানের। এই সংঘর্ষে তালিবানের প্রায় ৭০ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে দাবি করে আফগান কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশক থেকে তালিবানিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল কান্দাহার। ২০০১ সাল পর্যন্ত কান্দাহার ছিল তালিবানদের সদর দফতর। থেকে পুরোপুরিভাবে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে অগস্ট মাসের শেষে। আর সেই সুযোগে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তালিবানরা।

