sand mafia : বিলোনীয়ায় বালু মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জুলাই৷৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমায় বালু মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ একাংশ বনদপ্তরের অসাধু কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিলোনিয়াবাসী৷বালু মাফিয়ার দৌরাত্ম্যে অস্থির বিলোনিয়াবাসী৷ দুদিন পরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বালু মাফিয়াদের মধ্যে৷ ঘটনা চলেছে গত প্রায় তিন চার বৎসর যাবত৷প্রথমদিকে বালুরঘাটের লাইসেন্স নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধে৷


এরমধ্যে চৌদ্দটি লাইসেন্স পায় বিলোনীয়া৷কিন্তু এই লাইসেন্স হোল্ডারদের ব্যবসা করতে দিচ্ছে না একটা অংশের উৎশৃংখল যুবক৷ জোর করে. সিন্ডিকেটে ঢুকিয়ে তাঁদেরকে অংশীদারিত্ব দিতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ বেশ কিছু শাসক দলীয় নব্য মাফিয়াদের সিন্ডিকেটে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ এমনকি মারধর করা হয়েছে এবং টাকা দিতে হচ্ছে৷স্বাভাবিক কারণেই বালুর দাম প্রতি ফুট যেখানে সাত টাকা আট টাকা ছিলো সেই বালুর দাম ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷


ছয় মাস আগেও যে বালুর দাম ছিলো বারো টাকা ফুট সেই বালু বর্তমানে পনেরো টাকা করেছে সিন্ডিকেট৷স্বাভাবিক কারণেই সাধারণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে৷কারণ সেন্টিকেট ছাড়া আর কোথাও থেকে বালু পাওয়া যাচ্ছে না৷ সেন্টিকেট যে দাম নির্ধারণ করছে সেই দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছে৷এই বিষয়ে প্রায় বছর খানেক আগে দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন৷জেলা শাসক পদক্ষেপ নিয়ে বালুর দাম ১৫টাকা থেকে কমিয়ে ১২টাকা করে দিয়েছিলেন৷ বর্তমানে আবার গত তিন মাস আগে থেকেই ১৫ টাকা দাম করে দিয়েছিল সেন্টিকেট নেতারা৷এর মধ্যে মনুর মুখের যতন সরকার নামে এক বালুর লাইসেন্স হোল্ডার সেন্ডিকেটে ভর্তি হয়নি৷

সেই অপরাধে এর আগেও হামলা করা হয়েছে তার উপর৷গতকাল রাতেও তার বালুর ঘাটে দুসৃকতিকারীরা হামলা করে সমস্ত বালু তোলার পাইপ গুলি ভেঙ্গে দেয়৷ পাশাপাশি মেশিনটিও তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ এই বিষয় নিয়ে যথারীতি শাসক দলের বুথ সভাপতি, গ্রামের প্রধান, উপপ্রধান সবাইকেই জানানো হয়েছে৷কিন্তু কোন অবস্থাতেই ঘটনার মীমাংসা হচ্ছে না৷স্বাভাবিক কারণেই বালুর ঘাটের মালিকের বক্তব্য প্রশাসন এই বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করুক৷ . কিন্তু সাতমুড়া এলাকার মাফিয়াদের উৎপাতে বালুরঘাটের যারা লাইসেন্স হোল্ডার তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম৷ পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বালুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নাজেহাল হচ্ছে৷বিলোনিয়াবাসীর দাবি এ বিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক৷ পাশাপাশি সরকার লাইসেন্স দেওয়ার পরও বেশ কিছু অবৈধ বালুর ঘাট এখনো যথারীতি চলছে৷অভিযোগ ওই অবৈধ বালুর ঘাট গুলি থেকে মাসোয়ারা পাচ্ছে দক্ষিণের বনদপ্তর এর অধিকারীকরা৷