কদমতলায় বাইশ লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করল পুলিশ, ধৃত দুই

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৭ জুন৷৷ গোয়েন্দা ও কদমতলা থানার যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ পাচারের পথে বরগোল এলাকা থেকে উদ্ধার বাইশ লক্ষ টাকার নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট৷ সাথে আটক আন্তরাষ্ট্রীয় দুই পাচারকারি৷ধৃত পাচারকারি ফারুক আহমেদ (১৮) এবং বিশাল শব্দকর (১৯)৷উভয়ের ঘর কদমতলা থানা এলাকায়৷আগামিকাল ধৃতদের আদালতে প্রেরণ করবে কদমতলা থানার পুলিশ৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নিকট গোপন সূত্রের খবর ছিল যে, দুই যুবক বরগোল মহেশপুরে সড়ক দিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশ পাচার করবে৷ পুলিশ সুপারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তর জেলার গোয়েন্দা ও কদমতলা থানার পুলিশ বরগোল মহেশপুর সড়কের বরগোল এলাকায় উৎপেতে বসে থাকে৷রাত যখন দশটা ছুঁইছুঁই টিক তখন দুই যুবক বরগোল থেকে মহেশপুরের উদ্দেশ্যে আসছিল৷কদমতলা থানার পুলিশ দুই যুবককে দাঁড়ানোর কথা বললে তারা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে৷ যদিও পুলিশ তাদের আটক করে তাদের কাছ থেকে ২২ প্যাকেট নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়৷আটককৃত দুই নেশা কারবারি দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডে ফারুক আহমেদ পিতা লেইস চৌধুরী৷এবং সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বিশাল শব্দকর পিতা বিজন শব্দকর৷বর্তমানে নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আন্তরাষ্ট্রীয় দুই পাচারকারি কদমতলা থানার হেফাজতে রয়েছে৷


এদিকে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান, পুলিশ সুপারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২২ প্যাকেটে মোট ৪ হাজার ৪০০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ৷ উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজার মূল্য প্রায় বাইশ লক্ষ টাকা৷ সাথে আন্তরাষ্ট্রীয় দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ৷ওসি শ্রী সরকার আরো জানান,এই বিপুল পরিমান নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি মহেশপুর হয় বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ সাথে কদমতলা থানার পুলিশ এনডিপিএস ধারায় ৩৭ নম্বরের একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷সাথে ধৃত অন্তরাষ্ট্রীয় দুই পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে কদমতলা থানার পুলিশ৷ আগামীকাল ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান ওসি শ্রী সরকার৷