বিজন ধরের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫জুন৷৷ শুক্রবার ত্রিপুরার হাইকোর্ট বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিজন ধরের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তকে চার সপ্তাহ স্থগিত করেছে৷ আদালতে ধরের পক্ষে হাজির হওয়া এক আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে কয়েকটি থানায় দায়ের করা একাধিক এফআইআর-এ ধরকে ‘‘উস্কানিমূলক’’ বলে অভিহিত করা হয়েছে বলে ধরকে মামলা করা হয়েছিল৷


তবে একই অপরাধে জড়িত হওয়ার জন্য তিনি তাঁর দলে একা ছিলেন না৷ প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএমের প্রবীণ বিধায়ক ভানু লাল সাহা একটি ’সাধারণ কারণ’ নিয়ে সংক্ষিপ্ত লেখার পোস্ট দেওয়ার জন্যও বেশ কয়েকটি এফআইআর-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ সাহার ক্ষেত্রে আদালত নির্দিষ্ট থানায় নিবন্ধিত একটি এফআইআর অনুযায়ী পুলিশি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ তিন বাম রাজনৈতিক নেতা- বিজন ধর, জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং ভানু লাল সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল৷ ধর কর্তৃক দায়ের করা এফআইআরের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশির একক বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরতযোগ্য রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করে৷ সরকার কোনও উত্তর দায়ের না করা পর্যন্ত ধরের বিরুদ্ধে যে তদন্ত শুরু হয়েছিল তা স্থগিত থাকবে৷ ভানুলাল সাহার ক্ষেত্রে আদালত একটি নির্দিষ্ট থানায় একটি এফআইআর গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল৷


এদিকে, আগামী মঙ্গলবার সিপিআইএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর করা আবেদনের শুনানি হবে৷ তবে সিপিআইএম পার্টি তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ এমনকি সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন যে এটি পুলিশের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির একটি স্পষ্ট কাজ৷