আগরতলা, ২৬ জুন (হি. স.) : ইচ্ছাকৃত ভুল, নাকি আধিকারিক স্তরে গাফিলতি! সাধারণ শ্রেণী-কে বাদ দিয়ে ভেটেরিনারি অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্তকে জট বেঁধেছে। কারণ, আজ ভেটেরিনারি স্নাতক বেকার যুবক-যুবতীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে না পেরে অসন্তোষ হয়ে ফিরে গেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সাত বছর বাদে ভেটেরিনারি অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও, তাতে মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঘোষণা দিয়েছিলেন, ১৬ জন ভেটেরিনারি অফিসার নিয়োগে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। তাদের মধ্যে তপশিলি জাতি ৭ জন এবং তপশিলি জনজাতি ৯ জনকে নিয়োগ করা হবে। কিন্ত, সাধারণ শ্রেণী-কে বাদ দিয়ে নিয়োগের সিদ্ধান্তে বেকারদের মনে অসন্তোষ আরও বেড়েছে।
ভেটেরিনারি অফিসার নিয়োগে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে সাধারণ শ্রেনীর ভেটেরিনারি স্নাতক বেকাররা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাঁদের অভিযোগ তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্ত, সাক্ষাত করার কোন অনুমতি ছিল না তাঁদের কাছে, তাই অনেকটা সময় অপেক্ষা করে অসন্তষ্ট হয়ে ফিরে গেছেন।
জনৈক ভেটেরিনারি স্নাতক বলেন, ২০১৪ সালে অন্তিম দফায় নিয়োগ হয়েছিল। এরপর থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় নি। অথচ শতাধিক স্নাতক ডিগ্রী নিয়ে বর্তমানে বেকার হয়ে বসে আছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখন ত্রিপুরা সরকার ১১৭টি শূন্যপদে মাত্র ১৬টি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতেও পক্ষপাত করেছে, কারণ কোন সাধারণ শ্রেনীর জন্য নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি, উষ্মা প্রকাশ করে বলেন তিনি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, এমন সিদ্ধান্তের পেছনে ইচ্ছাকৃত ভুল, নাকি আধিকারিক স্তরে চরম গাফিলতি দায়ী। সাধারনত, নিয়োগের ক্ষেত্রে সকলের জন্যই সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। কিন্ত, শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও ওই নিয়োগে সাধারণ শ্রেণীকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, তার উত্তর এখনো মিলেনি।

