নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুন৷৷ আবারও স্বস্তি দিয়ে কমেছে দৈনিক সংক্রমণ৷ তবে মৃত্যু মিছিল থামছে না৷ তেমনি, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সংক্রমণে শীর্ষেই রয়েছে৷ অবশ্য দৈনিক সুস্থতার হার বৃদ্ধি অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে৷
ত্রিপুরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২,৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ৪৪৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ দৈনিক আক্রান্তের হার কমে হয়েছে ৩.৫০ শতাংশ৷ এদিকে, আরও চারজনের মৃত্যু ত্রিপুরায় করোনাকালে চিন্তা বাড়িয়েই রেখেছে৷ কারণ, প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ণ গোটা রাজ্য৷ অবশ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬১ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৪,০৫০ জন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ১,১৪৩ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ১১,৫২৫ জনকে নিয়ে মোট ১২,৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে, আরটি-পিসিআরে ৬১ জন এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ৩৮২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৪৩ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে৷
তবে, স্বস্তির খবরও রয়েছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬১ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে৷ তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪,০৫০ জন৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৬১,৭৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৫৭,০২৫ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনায় আক্রান্তের হার হয়েছে ৫.১৬ শতাংশ৷ তেমনি, সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯২.৩৯ শতাংশ৷ এদিকে মৃতের হার হয়েছে ১.০৪ শতাংশ৷ নতুন করে ৪ জনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৬৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষে থাকছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১৩৮ জন, দক্ষিণ জেলায় ৩২ জন, গোমতি জেলায় ২৯ জন, ধলাই জেলায় ৪৯ জন, সিপাহিজলা জেলায় ২৮ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৮৮ জন, উনকোটি জেলায় ৫৪ জন এবং খোয়াই জেলায় ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷