নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ উদয়পুর, ৮ জুন৷৷ ত্রিপুরায় ফের শুরু হয়েছে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচি৷ ওই কর্মসূচির অধীন আজ মঙ্গলবার থেকে ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হবে৷ এই রবি মরশুমে ২০ হাজার মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা ত্রিপুরা সরকারের লক্ষ্য৷ এর জন্য মোট ২৯টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷
এ-বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, অতীতে ত্রিপুরায় এমএসপি-র মাধ্যমে ধান কেনার কোনও বন্দোবস্তই ছিল না৷ ফলে কৃষকরা বঞ্চিত হতেন৷ নতুন সরকার তা শুরু করেছে৷ ত্রিপুরা সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ১,৮৬৮ টাকা দরে ধান ক্রয় করছে৷ এর জন্য রাজ্য সরকার খরচ করবে ৩৭.৩৬ কোটি টাকা৷ এছাড়াও আনুষঙ্গিক খরচ হবে আরও ৬.৮৭ কোটি টাকা৷ তিনি রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের কাছে অনুরোধ জানান, আপনারা আপনাদের নিকটবর্তী কৃষি বিভাগ বা মহকুমাশাসকের দফতরে ধান বিক্রয় করুন এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুবিধা গ্রহণ করুন৷
খাদ্যমন্ত্রী মনোজকান্তি দেব বলেন, আজ উদয়পুর এবং সোনামুড়ায় ধান ক্রয়ের কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷ গত বছর ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, এখন ধানের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে৷ ১,০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল থেকে ১,৮৬৮ টাকা প্রতি কুইন্টাল হয়েছে৷ তিনি বলেন, ধানের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে৷ ফলে, ফলনও বেড়েছে৷
তাঁর দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রিপুরায় ৩৫ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন৷ তাতে, ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক বোঝা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন৷
এদিকে, মঙ্গলবার উদয়পুর মাতাবাড়ি ধন্যমানিক্য মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন ত্রিপুরার কৃষক ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, পরিবহন ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়৷এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, উদয়পুর মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায়, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুজন কুমার সেন, কৃষি দপ্তরের গোমতী জেলার উপ অধিকর্তা প্রিয়ব্রত বৈদ্য, মাতাবাড়ি কৃষি তত্ত্বাবধায়ক অজয় দেববর্মা সহ বিশিষ্ট জনেরা৷ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক জন কৃষক ১৮৬৫ টাকা কুইন্টাল দরে সর্বাধিক ৩০কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন৷ সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা যারপরনাই খুশি৷

