গুয়াহাটিতে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ‘অনিরাপদ’, ঘোষণা মিজোরাম সরকারের

আইজল, ৮ জুন (হি.স.) : গুয়াহাটিতে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ‘অনিরাপদ’ বলে ঘোষণা করেছে মিজোরাম সরকার। রাজ্য জুড়ে সমস্ত মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, ৯৩৩৬, ৯৩৩৭ এবং ৯৩৩৮ ব্যাচ নম্বরের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ‘স্পারশ’ যাঁদের কাছে আছে, তারা যেন শীঘ্র ‘মিজোরাম ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর অফিসারদের কাছে সেগুলি জমা করে দেন।

লালসাওমা নামের জনৈক সরকারি আধিকারিক জানান, গুয়াহাটির নারেঙ্গিতে অবস্থিত ‘পূরবী ফারমা ল্যাব’ নামের এক কোম্পানির তৈরি ‘স্পারশ’ ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইটার মিজোরামে বাজারজাত করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের অধীন কন্ট্রলিং অ্যান্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্যসেবা অধিকরণ ওই সব স্যানিটাইজার পরীক্ষা করে দেখেছে, এগুলি নিরাপদ নয়। তাই গুয়াহাটির ‘পূরবী ফারমা ল্যাব’-এর তৈরি ‘স্পারশ’ ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইটারকে ‘অনিরাপদ’ (আন-সেফ) বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

সরকারি আধিকারিকটি আরও জানান, উদ্দীপক উপাদান দিয়ে তৈরি গুণমানহীন সাব-স্ট্যান্ডার্ড হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলি সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। লালসাওমা বলেন, ‘মিজোরাম ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) ওই ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। তাদের পরীক্ষায় এই জাতীয় বেশ কয়েকটি ‘বোগাস’ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সন্ধান পেয়েছেন এফডিএ-র সংশ্লিষ্ট আধিকারকরা।

আধিকারিক লালসওমা বলেন, রাজ্যের বহু মানুষ অনলাইনে গুয়াহাটিতে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ‘স্পারশ’-এর অর্ডার করেছিলেন। ফলে এই স্যানিটাইজার মিজোরামের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য আসাম স্টেট ড্রাগ কন্ট্রলারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎক্ষণাৎ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছেন আসাম স্টেট ড্রাগ কন্ট্রলার। লালসওমা আরও বলেন, প্রস্তুতকারকরা স্বীকার করেছেন, তাঁদের তৈরি স্যানিটাইজারে সুরক্ষা-সমস্যা রয়েছে। তাই সাতদিনের মধ্যে সেগুলি ফেরত নিয়ে যেতে মুচলেকা দিয়েছেন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।