নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুন৷৷ সোমবার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, গত ৫ই মে, ২০২১ তারিখের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী যে সকল ঋণ ১ এপ্রিল, ২০২১ তারিখ থেকে আজকে পর্যন্ত অনুৎপাদক সম্পদ NPA) হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে সেগুলি ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিন্যাসের আওতায় আনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
এরফলে ঋণ গ্রহীতাগণ তাদের ঋণ ফেরত কিস্তির পরিমাণ এবং সময়সীমা পরিবর্তন করতে পারবেন৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষের উপর মানুষ উপকৃত হবেন৷ অনুরূপভাবে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী ব্যাঙ্ক এবং সংস্থা সমূহ MFI) তাদের গ্রাহকদের ঋণগুলিও ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিন্যাসের আওতায় নিয়ে আসতে পারে৷ এই সুুবিধা গ্রহণ করার জন্য ঋণ গ্রহীতাগণ আগামী ৩০ সেপ্ঢেম্বর, ২০২১ তারিখের মধ্যে নিজ নিজ ব্যাঙ্ক বা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থার শাখায় বিস্তারিত বিবরণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন৷
করোনা অতিমারির সময়ে রাজ্যের ঋণ গ্রহীতাদের কিস্তি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ২ জন উপমুখ্যমন্ত্রী সভাপতিত্বে এক সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যের ৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫২ জন ব্যাঙ্কগুলি থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ১৬,৮৮৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন৷ এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫০৯ জন ১,৫৮৪ কোটি ১৯ লক্ষ, প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রকল্পে PMEGP) ১,০৩৬ জন ঋণ নিয়েছেন ৫১ কোটি, স্বাবলম্বন প্রকল্পে ৮০৮ জন ঋণ নিয়েছেন ২০কোটি ৩০ লক্ষ টাকা৷ এছাড়াও অন্যান্য প্রকল্প মিলে মোট ৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫২ জন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন৷ ফলে রাজ্যের বর্তমানে সিডি রেশিও ৫৪ শতাংশ পৌছেছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান৷