শালগড়ায় মহাশ্মশান নির্মাণে আপত্তি জানাল এলাকাবাসী, দিনভর উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৩১ মে৷৷ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে করোনার দ্বিতীয় ষ্ট্যানে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলায় গড়ে তোলা হবে কোভিড মহাশশ্মান৷ সেই মোতাবেক গত কুড়ি মে গোমতি জেলার জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে ত্রিপুরার কৃষক ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহের পৌরহিত্য গোমতি জেলা কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়৷


সেখান থেকে উদয়পুর মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায়, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ উদয়পুর পেরাতিয়া ফরেস্ট অফিস সংলগ্ণ কালীবাড়ি এলাকায় এই কোভিড মহাশশ্মান গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন৷ অনুকূল পরিবেশ না থাকায় গত পরশু উদয়পুর জামজুড়ি পঞ্চায়েতের শালগড়া রেল ব্রীজ সংলগ্ণ এলাকায় মহাশ্মশান তৈরীর সিদ্ধান্ত হয়৷ সেই মোতাবেক গতকাল ঐ প্রস্তাবিত স্থানে আর ডি দপ্তরের পক্ষ থেকে ইট, বালি এনে জমা করানো হয়৷


আজ সাত সকালে গোমতি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত শালগড়া পঞ্চায়েতর প্রায় শ’দুয়েক নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে মহাশ্মশানে কর্মরত শ্রমিকদের বাঁধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ খবর পেয়ে এই সংবাদ প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত হয়ে জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার , কাকড়াবন থানা সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের খবর দেন৷ খবর পেয়ে কাকড়াবন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বুধু দেববর্মা, কাকড়াবন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিজিৎ দাস, জামজুড়ি গ্রামের প্রধান সুব্রত দাস সহ সবাই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দুপুর একটায় জামজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে উদয়পুর মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায়, শালগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান ঠাকুরচাঁন দাস সহ উল্লিখিত ব্যক্তিরা৷


সংবাদে জানা যায় শালগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জনগণ শালগড়া রেল ব্রীজ সংলগ্ণ জামজুড়ি পঞ্চায়েতে মহাশ্মশান গড়তে কোন আপত্তি নেই তবে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকার করা যাবে না৷ এটা দাবি যেখানে মহাশ্মশান তৈরি করা হচ্ছে ঠিক গোমতি নদীর উওরেই ঘনবসতিপূর্ণ শালগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত৷ করোনা আক্রান্ত রোগী সৎকার করলে ওখানকার পরিবেশ দূষিত হবে এবং গোমতী নদীর জল দূষিত হবে৷ গোমতী নদীর জল পানীয় হিসেবে কাজে লাগায় ঐ এলাকাবাসীরা৷ তাই এখানে মহাশ্মশান তৈরি করা হলে জল দূষিত হবে এবং পানীয় জল হিসেবে কাজে ব্যবহৃত করতে পারবে না৷
উল্লিখিত দাবি সামনে রেখে শালগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় শদুয়েক পুরুষ মহিলা একত্রিত হয়ে উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টি করে৷ পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷পরবর্তী সময়ে কাকড়াবন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর নেতৃত্বে৷ জামজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংবাদ সূত্রে জানা যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *