প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত

কলকাতা, ২৯ মে (হি. স.) :  প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক শনিবারও অব্যাহত রয়েছে।কলাইকুণ্ডায় শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যাননি বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বটেই মুখ্যসচিব বা স্বরাষ্ট্রসচিব, কেউই ছিলেন না।

শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এখানে প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হচ্ছে, গুজরাতে টাউটের পর প্রশাসনিক বৈঠকে কেন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না? মোদীর জন্য ২০ মিনিট আকাশে চক্কর খেতে হয়। কলাইকুণ্ডায় পৌঁছনোর পরও বসিয়ে রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম।

বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের অন্যতম পরামর্শদাতা অসীম ঘোষ শনিবার এই প্রতিবেদককে বলেন, “নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী না হয় প্রচারের নিরিখে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ভোটের পর তো তা নয়! তৃণমূলনেত্রীর এটা বোঝা উচিত। উনি যদি কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার পথে না হাঁটেন, রাজ্যের বা বলা ভাল ক্ষতি হবে রাজ্যবাসীর। কেন্দ্রকে বুঝিয়ে আদায় করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই।”

অসীমবাবু বলেন, আমি যতটা বুঝি আইনের পথে হেঁটেই মুখ্যসচিবকে সরানো হয়েছে। ওঁরা তো সর্বভারতীয় ক্যাডারের আফিসার। কেন্দ্র তো সিদ্ধান্ত নিতেই পারে! মুখ্যসচিবের বদলির সঙ্গে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর গড়হাজিরার সম্পর্ক আদৌ আছে কি না, জানি না।“

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বর্মা টুইটে লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সাংবিধানিক মতবাদে আবদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আচরণয়কেব প্রধানমন্ত্রীর অপমান নয়, আমাদের সংবিধানেরও অপমান। কেবল নিজেকে ভালবাসেন এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী সংকটের সময়ে তীব্র রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন, এর জন্য বাংলার মানুষকে আমি সহানুভূতি জানাই।“অন্যদিকে, তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে লিখেছেন, “৩০ মিনিটের অপেক্ষার অভিযোগ নিয়ে এত গোলমাল? ১৫ লক্ষ টাকার জন্য ভারতীয়রা সাত বছর অপেক্ষা করছি। এটিএম সারিতে অপেক্ষা করেছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ভ্যাকসিনের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করছি। কখনও কখনও আপনাকেও অপেক্ষা করতে হবে