তেলিয়ামুড়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সমালোচনায় প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৪ মে৷৷ রবিবার রাতের কোন এক সময়ে তেলিয়ামুড়া শান্তিনগর গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক ব্যক্তি দীর্ঘ বছর রোগ ভোগের পর মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে৷ খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায়৷ ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ৷ এলাকার সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মাকে বার-বার ফোন করা হলেও তিনি কিন্তু ফোন ই রিসিভ করার প্রয়োজন টুকুও মনে করেনি৷


পরবর্তী সময়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক তথা তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের সি ই ও ভাস্কর ভট্টাচার্য্য তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের শববাহী গাড়ি কে ফোন যুগে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য বলে৷ তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের শববাহী গাড়ি করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে মৃতদেহের করোনা পরীক্ষা করা হলে তার শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়৷


এদিকে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে জানান, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে ফোন যুগেজৈনিক ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ সেই খবর জানানো হয় কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের করুনার কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী সহ তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা ওই এলাকায় গিয়ে জনৈক ব্যক্তির স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেওয়ার প্রয়োজন টুকু মনে করে নি৷ চন্দন বাবু ঠায় বসে রয়েছেন উনার পক্ষে ঘাঁটি গেড়ে৷ এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করে আরো জানায়, এই যদি হয় একটি মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার নমুনা তাহলে মানুষ সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটুকু পাবে তার লাখ টাকার প্রশ্ণ৷ তাছাড়া এলাকাবাসীদের বক্তব্য, চন্দন বাবুর খাম-খেয়ালিপনায় মৃত্যু হল জনৈক ওই ব্যক্তির৷