রোজভ্যালী নিয়ে সাধারণ মানুষ সেদিন সোচ্চার হয়েছিল : বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ শান্তিরবাজারে বিরোধী দল সিপিএমের নেতা সহ বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের উপর হামলার সাথে বিজেপির কোন কার্যকর্তা জড়িত নয়৷ আবারও জোর দিয়ে একথা বললেন বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী৷ তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ওইদিন সিপিএম নেতৃত্বের উপর হামলার সাথে কারা জড়িত তা পুলিশ তদন্ত করছে৷ তবে সেদিন চিটফান্ড রোজভ্যালীর কেলেংকারী নিয়ে সরব হয়েছিল আক্রমণকারী৷ তবে এই ধরনেব আক্রমণ ও হামলার নিন্দা বিজেপি আজও করছে৷ তবে বিজেপির কোন নেতা কর্মী এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়৷


সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি মুখপাত্র আরও বলেন, বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিতে সিপিএম, কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নেতিবাচক রাজনীতি করে চলেছে৷ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনবিরোধী ভূমিকা নিচ্ছে৷ এই দুঃসময়েও রাজনীতির উধের্ব উঠতে পারছে না৷ কোভিড চিকিৎসায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের মনোবল চাঙ্গা করার পরিবর্তে দুর্বল করে দিচ্ছে৷ এটা হওয়া উচিৎ নয়৷ এ ধরনের ঘটনায় ধিক্কার জানায় বিজেপি৷ প্রসঙ্গত, এদিনই জাতীয় স্তরে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস সহ ১২টি রাজনৈতিক দলের তরফে কোভিড চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছে৷

তাতে রাজ্যগুলোকে টিকা প্রদান-সহ আরও কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে প্রশ্ণ তোলা হয়৷ এ ব্যাপারে বিজেপি-র প্রদেশ মুখপাত্র বলেন, এখন চিঠি চিঠি খেলার সময় নয়৷ সরকারের সমালোচনা করারও সময় নয়৷ এখন সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোরই উচিৎ রাজনীতির ঊধের্ব উঠে মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করা৷ ভারত নিজের দেশে কোভিড টিকা না দিয়ে বিদেশে কেন সাড়ে ৬ কোটি টিকা দিয়েছে, জাতীয় স্তরে বিরোধীদের তোলা এই প্রশ্ণের উত্তরও দিয়েছেন বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী! সবশেষে তিনি রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের উদ্দেশ্যে আবেদন রেখে বলেন, ত্রিপুরা যাতে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো না হয়, তার জন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে৷ সাংবাদিক সম্মলনে তাঁর সঙ্গে বিধায়ক রামপদ জমাতিয়াও ছিলেন৷