করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর ঘাটতি নেই, প্রয়োজন শুধু জনগণের সহযোগিতা : স্বাস্থ্য দফতর

আগরতলা, ৫ মে (হি. স.)৷৷ করোনা মোকাবিলায় সম্প্রতি চুক্তির ভিত্তিতে ১০০ জন চিকিতক এবং ১০০ জন নার্স নিয়োগ করা হবে৷ তবে, সম্পুর্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২০ জন চিকিতকের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ অবশ্য, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ঘাটতি নেই৷ আজ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা: সুভাশীষ দেববর্মা এই তথ্য দিয়ে দাবি করেন, করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর ঘাটতি নেই, চাই শুধু জনগণের সহায়তা এবং সচেতনতা৷ এদিন কোভিড-১৯ স্টেট নোডাল অফিসার দাবি করেন, এখনই জনগণের সচেতন না হলে আগামী দিনে করোনা আরও ভয়াবহ আকার নেবে৷ কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জন স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে বর্তমানে ৮ জন এখনও সক্রিয় রয়েছেন৷ ওই ৮ জনের মধ্যে চারজন চিকিতকও আছেন৷


এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধ দফতরের অধিকর্তা ডা: রাধা দেববর্মা বলেন, করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিন বেড়েই চলেছে৷ তবে, করোনা আক্রান্তদের চিকিতায় প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে দুই শতাধিক শয্যার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে৷ তবুও সংক্রমণ এড়াতে করোনা বিধি কঠোরভাবে পালন করতেই হবে, ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে আবেদন জানান তিনি৷ স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, করোনা মোকাবিলায় এখন সবচেয়ে জরুরী জন সচেতনতা৷ এক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা অতি আবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে৷ এদিকে, করোনা আক্রান্তদের চিকিতার ক্ষেত্রে কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে তা জানাতে একটি ইমেইল আইডি বানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷ করোনা আক্রান্তের পরিবার সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছেন ডা: দীপ কুমার দেববর্মা৷ সাথে তিনি যোগ করেন, করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন কিংবা সামান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চিকিতা শ্রেয়৷ তাতে, হাসপাতালের উপর চাপ কম পরবে এবং আশঙ্কাজনক রোগী-দের চিকিতা দেওয়া সম্ভব হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *