ভীতসন্ত্রস্তরা পালাচ্ছে অসমে, তৃণমূলকে তোপ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

কলকাতা, ৬ মে (হি স) : ‘লাগাতার সন্ত্রাসের’ প্রতিবাদ করে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথগ্রহণের দিন বুধবার রাজ্যে হিংসা ও রক্তপাত থামানোর দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। শপথ-পর্বের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা ও খুনোখুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, যে কোনও হিংসার মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে রাজ্য পুলিশ।
সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের ওপর আক্রনণের জেরে অনেকে অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। ’জ্বলন্ত বাংলা’ শিরোনামের এক বিবৃতিতে ছবি-সহ হিমন্ত বিশ্বশর্মা বৃহস্পতিবার লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেন ঘৃণ্য রাক্ষসতন্ত্র লুরু হয়েছে। অখিল ভারত তৃণমূল কংগ্রেসের নিরীহ নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। আহত ধীরেন সাহা (৪৫) সহ ২১ জন প্রাণ হুমকির মুখে পড়ে সন্ধ্যার দিকে কোচবিহার থেকে শ্রীরামপুরে এসে পৌঁছান। করোনা পরীক্ষার পরে বাংলার ফালিমারী ও রামপুর গ্রামের আঘাতপ্রাপ্ত ও অসহায় মানুষদের সাময়িকভাবে আসামের শ্রীরামপুর এমজিআর এমই স্কুলে রাখা হয়। সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আইনকে বেহাল বিদ্রূপ করে চলছে অরাজকতা। এটা লজ্জার।“
বৃহস্পতিবার পৃথক পাঁচটি ছবি পাঠানো হয়েছে বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। ছবিগুলোয় আছে অসমের  রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া আশ্রপ্রার্থীদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে একটি মানবাধিকার সংগঠনের তরফে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসায় ধারাবাহিক প্রাণহানির ঘটনার তথ্য পেশ করে ৩৫৬ ধারা জারির আবেদন জানানো হয়েছে। হিংসায় উদ্বেগ জানিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজ্যে তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *