পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের বরখাস্তের দাবিতে ধর্নায় বসলেন বিজেপি বিধায়ক

আগরতলা, ২৮ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ বিয়ে বাড়িতে অভিযান চলাকালীন মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার-র অভিযোগ-এ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক-কে বরখাস্তের দাবি-তে ধর্নায় বসেছেন বিজেপি বিধায়ক আশীষ দাস৷ তবে, করোনা-র ভয়াবহ পরিস্থিতি-তে এধরনের আন্দোলন নিয়েও প্রশ্ণ উঠেছে৷ অবশ্য, তিনি দাবি করেন, করোনা-র জন্য ৪/৫ মিলে সমস্ত বিধি মেনে ধর্নায় বসেছি৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক-কে বরখাস্ত না করা পর্যন্ত তিনি প্রতিদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷


প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে কোভিড বিধি উল্লংঘন করে কারফিউ চলাকালীন দুইটি ভাড়া করা বিয়ে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান-কে ঘিরে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ডা: শৈলেশ কুমার যাদব-র অভিযানে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে৷ অবশ্য তিনি গতকাল ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন৷ কিন্ত, কিছুক্ষণ বাদেই পুরো ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে মত বদল করে নেন৷ তখন তিনি বলেন, জননিরাপত্তায় নেওয়া পদক্ষেপ-এ কোন ভাবেই অনুতপ্ত নন৷ আইন ভঙ্গকারী-দের সাথে যোগ্য আচরণ করেছেন তিনি৷


ওই ঘটনায় গতকাল সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক ক্ষমা চেয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন৷ দুই অধিকারী মঙ্গলবার রাতে বিয়ে বাড়ির ঘটনায় তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবেন৷ ওই রিপোর্ট-র ভিত্তিতে ত্রিপুরা সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে৷ এদিকে, গতকাল বিজেপি-র পাঁচ জন বিধায়ক মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের পদ থেকে ডা: শৈলেশ কুমার যাদব-র বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন৷


আজ সকালে সার্কিট হাউস এলাকায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন বিজেপি বিধায়ক আশীষ দাস৷ তাঁর বক্তব্য, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ত্রিপুরার সংসৃকতি, ঐতিহ-কে আঘাত করেছেন৷ প্রবীণ নাগরিক তথা পুরোহিত-কে গলা ধরে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা সভ্য সমাজ-কে কলঙ্কিত করেছেন৷ শুধু তাই নয়, বিবাহ-র মত পবিত্র অনুষ্ঠান-কে তিনি কলুষিত করেছেন৷ তাই, তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ তাঁর সাফ কথা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক-কে বরখাস্ত না করা পর্যন্ত লাগাতর প্রতিবাদ কর্মসূচি জারি থাকবে৷ প্রতিদিন আগরতলায় কোন না কোন স্থানে ধর্ণা সংগঠিত করা হবে৷ তবে, কোভিড বিধি মেনে আন্দোলন জারি রাখব আমরা, বলেন তিনি৷

অবশ্য, করোনা-র ভয়াবহ পরিস্থিতি-তে এ-ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ করোনা ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷ এই পরিস্থিতি-তে দাড়িয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক-কে নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা আদৌ ঠিক হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন না৷ সোশ্যাল মিডিয়া-তে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে৷ কিন্ত, কয়েক কদম এগিয়ে আন্দোলন রাস্তায় নামিয়ে আনা উচিত হচ্ছে না বলেই দাবি তথ্যভিজ্ঞ মহলের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *