নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল৷৷ কদমতলা থানাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পৃথক পৃথক তিনটি স্থানে চোরের সাফাই অভিযান৷ ঘরের আসবাবপত্র,স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ সহ গাড়ির সা-সামগ্রী নিয়ে যায় চোরের দল৷ পৃথক পৃথক তিনটি স্থানে চুরি যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা৷ ঘটনাস্থলে কদমতলা থানার লোক দেখানো সফর৷ পুলিশি নিরাপত্তা ও রাতে টহলদারি নিয়ে সাধারণ জনগণের প্রশ্ণ৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জবুথবু সাধারন জনগন৷তার হাত থেকে বাদ যায়নি প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরাও৷ তারই মধ্যে গতকাল গভীর রাতে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন কালাগাঙ্গের পাড়, হরিনা ছড়া ও পিয়ারা ছড়ায় চুরি কান্ড সংঘটিত করে চোরের দল৷ রানীবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনা ছড়ার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কার্তিক তেলেঙ্গার ঘরের জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে চোরের দল৷ঘর থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে যায়৷ পাশাপাশি দক্ষিণ পিয়ারি ছড়ার দীপক মুন্ডা পিতা মৃত রামপ্রসাদ মুন্ডার মহেন্দ্র বলেরও মাক্সি ট্রাকের দরজা ভেঙ্গে ব্যাটারি সহ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশ নিয়ে যায় চোরের দল৷ এদিকে একি রাতে কালাগাঙ্গের পাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৌড় মনি নাথ পিতা ধীরেন্দ্র নাথের ঘরে হানা দেয় চোরের দল৷
ঘরে থাকা তামা, কাঁসা, স্বর্ণালঙ্কার সহ নগদ অর্থ মিলিয়ে প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোরের দল৷ সকলেই আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজ ঘরে ও গাড়িতে চোরের সাফাই অভিযান প্রত্যক্ষ করেন৷ তারপর কদমতলা থানায় পৃথক পৃথক তিনটি স্থানে চুরির ঘটনার খবর দেওয়া হলে কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে লোক দেখানোর নামে ছুটে আসে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ৷ চুরি যাওয়া পরিবারের অভিযোগ,কদমতলা থানার পুলিশ বাবুদের রাতের বেলার টহলদারিতে ওই সকল এলাকায় দেখা যায় না৷যদিও রাজ্য সরকার পেট্রোলিং এর জন্য প্রতিটি থানায় মোটরবাইক প্রদান করেছেন কিন্তু সে সকল বাইক পুলিশ বাবুরা কোথায় কিভাবে ব্যবহার করছেন তা একমাত্র উনারা জানেন বলে গৃহসদের অভিযোগ৷তাই স্থানীয় জনগণ কদমতলা থানা এলাকায় রাতের টহলদারি ও পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কদমতলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি তুলেছেন৷
তবে একই রাতে পরপর তিনটি বাড়িতে চোরের এমন দুঃসাহসিক চুরি কান্ড সংঘটিত হওয়ার পর গোটা কদমতলা থানা এলাকায় তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে৷

