বক্সনগরে উদ্ধার চুরি যাওয়া বাইক, গ্রেপ্তার নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল৷৷ বক্সনগরের রহিমপুর সীমান্তে স্থানীয় বাসিন্দারা পাচারকারীদের কাছ থেকে আটক করলেন একটি বাইক৷ উদ্ধার করা বাইকটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷চুরি হওয়া বাইক উদ্ধার হল সীমান্ত এলাকা থেকে৷ বাইক পাচারকে কেন্দ্র করে করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল রহিমপুর গৌরাঙ্গলা এলাকায়৷ স্থানীয় বাসিন্দা বনাম পাচারকারীদের মধ্যে ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা৷চুরি হওয়া বাইক উদ্ধার করে রীতিমতো নজির স্থাপন করল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা৷


সংবাদ সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে ২৩ শে মার্চ একটি চুরি হওয়া বাইক উদ্ধার করে দেয় এলাকার লোকজন৷ওই ঘটনায় পাচারকারীদের রক্ত চক্ষুর সম্মুখীন হয়েছিল তাদেরকে৷ ওই ঘটনার ঠিক এক মাস পর ২১এপ্রিল বুধবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদএকদল পাচারকারী নম্বর বিহীন একটি ১৫০ মডেলের পালসার বাইক ১৫৭ নম্বর গেটের পাশাপাশি স্থান দিয়ে পাচার করতে চেষ্টা করে৷ গৌরাঙ্গলা সুকলের পাশ থেকে এলাকার সকল জনগণ মিলে পাচারকারীর কাছ থেকে বাইকটি আটক করতে সক্ষম হন৷ তারপর কলমচৌড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নম্বরবিহীন বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে৷তবে পাচারকারীদের পুলিশ আটক করতে পারেনি৷


ঘটনার বিবরণে জানা যায় ,সোনামুড়া মহাকুমার বাতাদুলা এলাকার সুমন সরকার নামে এক ব্যক্তি তিন দিন আগে অর্থাৎ রবিবারে আমতলী থানা এলাকায় মেলা দেখতে যায়৷ওই স্থান থেকে তার এই পালসার বাইকটি চুরি হয়ে যায়৷ চোরের দল এই বাইকটি লক ভেঙ্গে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ বাইকটি নিয়ে গিয়ে নম্বর প্লেট খুলে ফেলে দেয়৷এই নম্বর বিহীন বাইক দেখেই এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়৷ এই বাইকটি চুরি হওয়া বাইক বলে তারা সন্দেহ করেন এবং এলাকাবাসী বাইকটি আটক করেন৷ বাইকটি আটক করার পর বাইকের মালিক সুমন সরকারকে খবর দিলো সুমন সরকার থানাতে এসে তার বাইকটি চিনতে পারে৷ তার নাম্বার দেখায়৷কাগজপত্রও দেখায়৷ চুরি যাওয়া বাইক ফেরত পেয়ে দারুন খুশি বাইকের মালিক সুমন সরকার৷ তবে বাইকের মালিক পুলিশকে নয় , স্থানীয় জনতাকেই ধন্যবাদ জানালেন৷
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চুরি হওয়া বাইক বক্সনগর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হয়৷ তার মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হল রহিমপুর এলাকার গৌরাঙ্গলা ও পুটিয়া৷এই দুই এলাকা দিয়েই বাইক বাংলাদেশে পাচার করাা হয়৷তারা বিএসএফকে মোটা অংকের কমিশন দিয়ে ও পুলিশকে ম্যানেজ করে এই বাইকগুলি পাচার করে থােেক বলে জানা যায়৷ রহিমপুর এলাকা দিয়ে বাইক পাচারকারীর মূল পান্ডারা হল শাকিল আহমেদ৷ রবিউল হোসেন , জরিপ মিয়া ,ছায়াম মিয়া৷ এলাকা সূত্রে জানা যায় বেড়ার ওপারে যে বাইকগুলি রিসিভ করে তার নাম ডালিম মিয়া৷ তার বাড়ি বাংলাদেশ গৌরাঙ্গলা এলাকায়৷ তারা বাইকের পাশাপাশি অস্ত্র পাচার করে থােেক বলে জানা যায়৷ সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ণ তুলল নাগরিক সমাজ৷ এর আগেও এ পাচার বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *