নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল৷৷ জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ত্রিপুরার উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় বাল (শিশু) সুুরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে মিশন মাইলের সহযোগিতায় পাঁচ দিন ব্যাপী কাটা ঠোঁট ও তালু কাটা অর্থাৎ ক্লেফ্ট লিপ বা ক্লেফ্ট প্যালেট সনাক্তকরণ এবং অস্ত্রোপচার শিবিরের অনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে৷ আজ সকাল ১১ টায় এই শিবিরের উদ্বোধন করেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ত্রিপুরার অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সবাল৷ উপস্থিত ছিলেন গৌহাটিস্থিত মিশন মাইল এর অধিকর্তা ডাঃ হীতেশ্বর শর্মা, রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ডাঃ কমল রিয়াং, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ অ্যাণ্ড ডঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালের চেয়্যারম্যান ডাঃ পি রায়, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ ডঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালের সিইও স্বপন সাহা এবং ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ এণ্ড ডঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালের মেডিক্যাল সুুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অরিন্দম দত্ত, আর বি এস কে-র প্রোগ্রাম অফিসার ডা: সঞ্জয় রুদ্র পাল, ক্লেফ্ট লিপ-র প্রোগ্রাম অফিসার ডা: অর্পিতা বনিক৷
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ত্রিপুরার অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সবাল স্বাগত ভাষণে জানান, শিশুদের জন্মগত রোগ, বিকাশগত ত্রুটি অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করার জন্য রাজ্যে ৪৮টি আর বি এস কে টিম রয়েছে৷ প্রতিটি টিমে চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ রয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় বাল (শিশু) সুুরক্ষা কার্যক্রম এর অধীনে এই সমস্ত শিশুদের িিনং করার জন্যে চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে গঠিত দল বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন৷
জন্ম থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুদের বাঁকা পা বা ক্লাব ফুট, ঠোঁট বা তালু কাটা অর্থাৎ ক্লেফ্ট লিপ বা ক্লেফ্ট প্যালেট, জন্মগত হৃদরোগ ছাড়াও যাদের কানে শোনা বা চোখে দেখার সমস্যা রয়েছে, কথা বলতে যাদের অসুুবিধা হয় এরকম শিশুদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বলে তিনি জানান৷ শারীরিক এবং মানসিক বিকাশগত ক্রটির চিকিৎসাও এই প্রকল্পের আওতাধীন৷ যে সমস্ত শিশুরা উপরোক্ত যে কোনও অসুুখে ভুগছে, তাদের অভিভাবকগণ এই দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং নাম তালিকাভুক্ত করতে আহ্বান জানান তিনি৷রাজ্যে অবস্থিত হাসপাতালে এমনকি বহির্রাজ্যেও এই কর্মসূচির অধীনে চিকিৎসার সুুযোগ রয়েছে৷ রাজ্যে হাসপাতালে যাতায়াত সহ চিকিৎসার যাবতীয় সুুযোগ আরবিএসকে কর্মসূচিতে প্রদান কর হয়৷ বহির্রাজ্যেও চিকিৎসার যাবতীয় পরিষেবাও বিনামূল্যে এই কর্মসূচির অধীনে প্রদান করা হয়৷ বছরে সাধারণত চার শতাধিক শিশু এর সুুফল লাভ করে থাকে বলে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ত্রিপুরার অধিকর্তা জানান৷
গত বছর কোভিডজনিত পরিস্থিতিতে প্রায় আড়াইশ শিশু সুুফল লাভ করে৷ এছাড়া হিয়ারিং এড প্রদান করার তথ্যও তিনি তুলে ধরেন৷ ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টও রাজ্যে সফলভাবে হচ্ছে বলে তিনি জানান৷ কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে এই বছরও নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ ধরনের ক্যাম্প ধারবাহিকভাবে হবে জানিয়ে এর সুুফল গ্রহণ করার আহবান তিনি জানান৷ এছাড়া বক্তব্য রাখেন গৌহাটিস্থিত মিশন মাইল-এর অধিকর্তা ডাঃ হীতেশ্বর শর্মা, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ অ্যাণ্ড ডঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালের চেয়্যারম্যান ডাঃ পি রায়৷ ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ডাঃ কমল রিয়াং৷ উল্লেখ্য আজ এই শিবিরে ৩৭ জনের সনাক্তকরণ করা হয়েছে যার মধ্যে ২৯ জনের অস্ত্রোপচার আগামী দুদিন হবে৷ আগামীকাল যাদের পরীক্ষা করা হবে তাদের ২২ ও ২৩ এপ্রিল অস্ত্রোপচার হবে৷

