পুর নিগমের সম্মতিক্রমে শিশু উদ্যানের পুকুর পাড়ে বসছে চৈত্রের রিডাকশন সেল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ এপ্রিল৷৷ আগরতলা পৌর নিগমের সম্মতিক্রমে চৈত্রের রিডাকশন হাট বসছে শিশু উদ্যানের পুকুরের পাড়ে৷ স্থান নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷গতবছর করোণ ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতির কারণে চৈত্রের রিডাকশন হাট বসতে দেওয়া হয়নি৷ এবছর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে৷কিন্তু ইদানিং করোনার প্রকোপ আবার বাড়তে শুরু করেছে৷ প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷


তদুপরি ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগরতলা পুর নিগমে কর্তৃপক্ষ এ বছর সীমিত সংখ্যক কিছু ব্যবসায়ীকে চৈত্রের রিডাকশন হাটে বসার অনুমতি দিয়েছে৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বলা হয়েছে৷কিন্তু যে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করেই বেশ কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী রাজধানী আগরতলা শহরের শকুন্তলা রোড সহ অন্যান্য স্থানে মূল সড়কে দোকান খুলে বসার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেও তারা কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ করছে না৷


ওইসব ব্যবসায়ীদের দাবি বিগত বছরে তারা রিডাকশন হাটে বসতে পারেনি৷ তারা আর্থিক দিক দিয়ে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন৷আগরতলা পুরো নিগমের কাছ থেকে যেসব ব্যবসায়ী রিডাকশন হাটে বসার বৈধ অনুমতি পেয়েছে তারা ইতিমধ্যেই দোকান খোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে৷এসব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা এ বছর খুব কম সময়ে ব্যবসা করার সময় পেয়েছে৷
আরো আগে থেকেই অনুমতি দিলে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো হতো বলে তারা মনে করেন৷এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে৷একদিকে যখন রাজ্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে আগরতলা পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ হকারদের চৈত্রের রিডাকশন হাটে বসার অনুমতি দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে করোণা ভাইরাস সংক্রমণ যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন৷