আগরতলা, ৬ এপ্রিল (হি.স.)৷৷ ত্রিপুরায় মোট জনসংখ্যার ১৬ থেকে ১৮ শতাংশকে করোনা-র টিকা দেওয়া হয়ে গেছে৷ আজ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল৷ সাথে তিনি যোগ করেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ত্রিপুরায় বাড়ছে, তাই সতর্কতা এবং সচেতনতা কঠোরভাবে অবলম্বন করা খুবই জরুরি৷
এদিন তিনি বলেন, করোনা-র টিকাকরণ কর্মসূচি সফলতার সাথে চলছে৷ তাঁর কথায়, প্রথম পর্যায়ে ৪৮ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে ৯২ শতাংশের প্রথম ডোজ এবং ৮২ শতাংশের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ৬৫ হাজার মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যেও ৯২ শতাংশের প্রথম ডোজ এবং ৭০ শতাংশের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে৷ জয়সওয়াল বলেন, আগামী ৯ এবং ১০ এপ্রিল করোনা- টিকাকরণের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷ ওই সময়ে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ৫০টি টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এবং ওয়ার্ড সেক্রেটারি ও আশাকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের একত্রিত করা হবে৷
তিনি জানান, টিকাকরণে বিগত কর্মসূচিতে তিন দিনে ২.২৬ লক্ষ সুবিধাভোগীকে টিকা দেওয়া হয়েছিল৷ তাতে দেখা গেছে, প্রতি দিন ৮০ হাজার ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মোতাবেক ৬০ বছরের অধিক বয়সি এবং জটিল রোগে আক্রান্ত ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের ৪০ শতাংশকে টিকাকরণের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে৷
মিশন অধিকর্তা জয়সওয়াল বলেন, ৬০ বছরের অধিক বয়সি ৩.৪৯ লক্ষ এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি ৭.৬৭ লক্ষ মানুষ রয়েছেন ত্রিপুরায়৷ ফলে গড় হিসাবে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ ত্রিপুরার নাগরিকের করোনা-র টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গেছে৷ এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরায় ৩ লক্ষ ডোজ মজুত রয়েছে এবং আরও ৮ লক্ষ ডোজ এই মাসের মধ্যেই আসবে৷

