এডিসি ভোট শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ এপ্রিল : বিপুল উত্সাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় এডিসি নির্বাচনে ভোটদান শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে উত্সবের মেজাজে ভোটা প্রক্রিয়া চলছে। অধিকাংশ বুথেই সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত বিশেষ কোন গন্ডগোল-র খবর মিলেনি। তবে, জিরানিয়ায় চন্দ্র ধন পাড়া ভোট কেন্দ্রে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোটার-দের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে, প্রিসাইডিং অফিসার ওই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এদিকে, মহারানী চেলাগাং-এ ৩৬ নম্বর ভোট কেন্দ্রে একইভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিশ্চিত হার জেনে এখন মনগড়া কাহানি বানাচ্ছে বিরোধী-রা, এমনটাই দাবি করেছে শাসক দল বিজেপি। এদিকে, আজ সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর তেলিয়ামুড়া মহকুমায় মানিক বাজার তুইথাম্পুই উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে ইভিএম বিভ্রাট-র খবর মিলেছে। ভোটার-রা যে বোতাম-এ টিপ দিচ্ছেন, সেখানে ভোট পড়ছিল না। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যে ইভিএম বদল করে ভোট প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) নির্বাচন৷ অষ্টম এডিসি নির্বাচনে বিজেপি-আইপিএফটি জোট ছাড়া ময়দানে রয়েছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং প্রদ্যুত মানিক্যের তিপ্রা মথা৷ এডিসি-র ২৮টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ তাতে ২৫টি আসন জনজাতি সংরক্ষিত এবং বাকি তিনটি সাধারণ আসন রয়েছে৷ তাতে, ১৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ এরমধ্যে বিজেপি ১৪, আই পি এফ টি ১৭, এ আই এফ বি ১, সি পি আই ১, সি পি আই (এম) ২৫, আর এস পি ১, টি এস পি ২৩, আই এন পি টি ৫, আই এন সি ২৮, জে ডি (ইউ) ৬, নির্দল প্রার্থী মোট ৩৬ জন৷ এডিসি নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪১ জন৷ তার মধ্যে পুরুষ ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৯০ জন রয়েছেন৷ তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন৷

ভোটগ্রহণের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ৬,৯৪৯ জন কর্মী৷ এরমধ্যে রিজার্ভ থাকবেন ৭২৯ জন৷ প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন৷ সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন ১৮-টাকারজলা-জম্পইজলা (এস টি) কেন্দ্রে৷ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ১৯,৮৫৮ জন৷ সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন ২২-কাঁঠালিয়া-মির্জা-রাজাপুর (এস টি) কেন্দ্রে৷ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৪১,১৮৭ জন৷

নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ৫,৩৫৮ জন নিরাপত্তা কর্মী সহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ এরমধ্যে ১৬ কোম্পানি সি আর পি এফ, ৫,৬৮৪ জন টি এস আর জওয়ান, ৩,৪৩৫ জন পুলিশ কর্মী নিয়োজিত থাকবেন৷ এছাড়াও নির্বাচনী এলাকার অন্তর্গত ৬১টি থানা, পুলিশ পেট্রোলিং ও ২১০ জন পুলিশ সেক্টর অফিসার নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন৷ বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর মোট ১৬টি স্ট্রং রুমে রাখা হবে ইভিএম গুলি৷ স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সি এ পি এফ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *