কলকাতা, ৩০ মার্চ (হি. স.) : রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দি সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার ছত্রধর মাহাতোকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে হবে এনআইএ হেফাজতে। তাঁকে মঙ্গলবার এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে এনআইএ বিশেষ আদালত।
গত রবিবার ভোরে লালগড়ের বাড়ি থেকে ছাত্রধর মাহাতোকে তুলে আনে এনআইএর ৪০ জনের একটি দল। অভিযোগ, বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর অভিযোগ, গ্রেফতারের কোনও কাগজপত্র দেখানো হয়নি। বোঝা যায়নি ওরা পুলিশ নাকি বিজেপির লোক।
এনিয়ে ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিনহা রায় বলেন, ছত্রধরবাবুকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। ওঁর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাদের সব যুক্তি আদালতে পেশ করেছিলাম। অন্যদিকে, এনআইএ আবেদন করেছিল, তদন্তের জন্য আরও ১২ দিন হেফজতে চাই। দুপক্ষের আবেদন শুনে আদালত ছত্রধরকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখা নির্দেশ দিয়েছে।
ছত্রধর মাহাতোকে যেভাবে শারীরিক নির্যাতন করে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছে সেই বিষয়টিও আদালতে জানানো হয়। অভিযোগ করা হয়, ছত্রধর মাহাতো একজন প্রভাবশালী মানুষ। সেই জন্যই এই ভোটের সময়ে তাঁকে আটক করে রাখা হচ্ছে। তাঁর দেহে আঘাত সম্পর্কেও আদালতে বলা হয়। এনআইএ হেফাজতে তাঁর উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন যাতে না করা হয় তা খেয়াল রাখতে নির্দেশে দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, ছত্রধরের গ্রেফতার নিয়ে তাঁর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো বলেন, ছত্রধরের গ্রেফতার পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। দশ বছর জেলে থাকার পর এনআইএ এতদিন মনে করল তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। বিজেপি বুঝে গিয়েছে বাংলায় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমার স্বামী জঙ্গলমহলে যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাতে বিজেপি আশঙ্কিত। ভোর তিনটের সময়ে তাঁকে অপহরণের মতো করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও কাগজপত্র দেখেনি। বাড়িতে গোটা পরিবারের সামনে তাঁর উপরে নির্যাতন করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি শুভেন্দু অধিকারীর চক্রান্ত। ও জানতো জঙ্গলমহলে ভোট শেষ হয়েছে এবার ছত্রধর নন্দীগ্রামে প্রচারে আসবে। তাই এসব করা হচ্ছে।