মুখে বিষ ঢেলে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ মার্চ৷৷ বলপূর্বক বিষ পান করিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা৷ স্বামী ননদ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় মামলা করলো গৃহবধূ শিখা রানী দাস ৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ২৪ বছর পূর্বে বিশালগড় মহকুমার কমলাসাগর বিধানসভা কইয়াডেপা এলাকার মৃত মোহন দার্সে ছেলে হরি লাল দাসের সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ হয় আগরতলা পশ্চিম প্রতাপগড় এলাকার শিখা রানী দাসের৷


বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে সামান্য বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে সংসারে অশান্তি নেমে আসে৷ যদিও দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে বিবাহ হয়েছিল৷ কিন্তু স্বামী হরিলাল দাসের বোন মোহন বাঁশি দাস এবং প্রমিলা দাস সেই গৃহবধূর ওপর অত্যাচার চালাত এবং বারবার আখ্যা দিত তাদের পছন্দ হয়নি৷ কিন্তু এরূপ করতে করতে তাদের মধ্যে দুটি ছেলে সন্তান এবং দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়৷ বর্তমানে একটি কন্যা সন্তান বিবাহ হয়ে গেছে৷ কিন্তু তবু সুখ ফিরে আসেনি সেই গৃহবধূর৷


কারণে-অকারণে গৃহবধূর ওপর অত্যাচার করত হরি লাল দাস৷ কখনো মদমও অবস্থায়, আবার কখনো তার দুই বোনের কথা শুনে সেই গৃহবধূর ওপর অত্যাচার চালাত৷ গত ৮ ই মার্চ নিজ বাড়িতে কইয়াডেপা এলাকায় ঘরের মধ্যে বলপূর্বক বুকে চাপা দিয়ে সেই গৃহবধূর মুখে বিষাক্ত কীটনাশক ওষুধ ডেলে দেয় বলে অভিযোগ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত তার মুর্খে ভিতরে বিষ যায়নি ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে গলাচিপ দিয়ে আটকে রাখে৷ পরবর্তী সময়ে সেই গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে যায়৷ এলাকার জনগণ প্রথমে তাকে মধুপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরবর্তী সময়ে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় জিবিপিতে রেফার করা হয়৷দীর্ঘ সাত দিন জীবনসংগ্রাম চালিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে বাবার বাড়িতে৷


পরবর্তী সময়ে শনিবার মধুপুর থানায় বিভিন্ন অভিযোগ এনে গৃহবধূ শিখা রানী দাস তার স্বামী হরি লাল দাস ,দুই বোন মোহন বাঁশি দাস এবং প্রমিলা দাস এবং ননদের জামাই সাধন দাস এবং পরিমল দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়৷ যদিও ইতিমধ্যে মামলা হাতে নিয়ে মধুপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শুভ্রজিত দেব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন৷ তবে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *