আগরতলা, ২৫ মার্চ (হি. স.) : ত্রিপুরায় বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া-র বিরুদ্ধে বনভূমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ এই ইস্যুতে আজ বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল হয়েছে৷ বিরোধী-রা একাধিকবার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ তবে, দিনের শেষে সুদীপ রায় বর্মণ ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ন হতেই বিরোধীরা কার্যত কোনঠাসা হন৷ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে সুদীপ-র প্রশ্ণ, কেলেঙ্কারী কিভাবে হয়েছে ব্যাখ্যা দিন৷ জবাবে তারা সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারেননি৷
আজ ত্রিপুরায় একটি প্রভাতি দৈনিক-এ বনমন্ত্রী জমি কেলেঙ্কারী-তে জড়িত শীর্ষক খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ বিধানসভায় শূন্যকালে এই বিষয়টি উত্থাপন বিরোধী-রা মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী-র স্থানে রাজস্ব মন্ত্রী এন সি দেববর্মা বিধানসভা-কে অবগত করেন, এমন কোন জমি কাউকেই বরাদ্দ করা হয়নি৷ ত্রিপুরা সরকার অনিয়ম হবে এমন কোন কাজে সম্মতি দেয় না৷ তাতে, অসন্তষ্ট হয়ে বিরোধী-রা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় উপাধ্যক্ষ ১০ মিনিটের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন৷ এরই মধ্যে বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া তার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণ হলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন৷ তবে এখানেই থেমে যাননি বিরোধী-রা৷ বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন-এ দাবি করেন বনমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে বনভূমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন, বনমন্ত্রী জমি বন্দোবস্তের আবেদন করেছেন তার প্রমান রয়েছে, অথচ তিনি বেমালুম অস্বীকার করছেন৷ তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে, দাবি জানান বিরোধী উপনেতা বাদল চৌধুরী৷
একইভাবে, বিধানসভার বাইরে বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া সাংবাদিক-দের মুখোমুখি হয়ে তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দেন৷ তার সাফ কথা, জমি কেলেঙ্কারী-তে জড়িত অভিযোগ প্রমাণিত হলে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন৷ তার দাবি, এডিসি নির্বাচনে তাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে৷
এদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিরোধী-রা পুনরায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ তবে, তখন মুখ্যমন্ত্রী বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, তাই তারা থেমে যান৷ শেষে ত্রাতার ভূমিকায় নামেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ৷ তিনি বলেন, পৈত্রিক ভিটে দখল পাওয়ার জন্য বনমন্ত্রী সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন৷ প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ে নেননি৷ তাতে, কেলেঙ্কারী কোথায় হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই৷ তিনি বিরোধীদের কাছে কেলেঙ্কারির ব্যাখ্যা দেওয়ার আবেদন জানান৷ কিন্ত, বিরোধীরা এ-বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি৷ শুধু তাই নয়, এডিসি নির্বাচনের লক্ষ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার-র নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই অসত্য খবর প্রচারিত করা হচ্ছে৷ এ-বিষয়ে বিরোধী-রা মুখে কুলুপ এটে ছিলেন৷ তাতে মনে হয়েছে দিনের শেষে বনমন্ত্রী-র জমি কেলেঙ্কারী ইস্যুতে বিরোধী-রা কোনঠাসা হয়েছেন৷