আগরতলা, ৫ মার্চ (হি.স.) : ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনি প্রচার শুরু হওয়ার আগে তিপরাহা আদিবাসী প্রগতিশীল আঞ্চলিক জোটের (টিপ্রা) চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মণ বিশ্রামগঞ্জে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান। বলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাঁদের তিনি সময়মতো জবাব দেবেন। এদিন প্রমোদনগর এলাকার জগাইবাড়িতে তিপ্রা মথা-র সমর্থনে জড়ো হওয়া জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ভেঙে পড়েন তিনি। মঞ্চে তাঁকে চোখের জল মুছতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, আমি পোইলা জাতি উলো পার্টি স্লোগান শুরু করেছি। যার জন্য আমাদের তিপ্রাসা সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে রাজপরিবারের জন্য লজ্জা বলে অভিহিত করেছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ককবরক-এ কথা বলতে না পারায় এবং গত ২৫ বছরে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমাকে বানোয়াট বলা হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ত্রিপুরার রাজনীতির স্তর এতটাই নীচে নেমে গেছে যা আমরা ভারতের আর কোথাও দেখতে পাই না।
দেববর্মণ দাবি করেন, ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়, দীর্ঘ বছর ধরে বঞ্চিত তিপ্রাসার মানুষ এবং তাদের অধিকারের জন্য এই লড়াই। তিনি বলেন, রাজনীতির স্তর এবং বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়ে ভেবে আমি সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। তাঁর দাবি, ক্ষমতার স্পৃহা থাকলে অনেক আগেই সাংসদ হয়ে দিল্লি চলে যেতে পারতাম। আরাম-আয়েশে দিন কাটাতাম। কিন্তু সেই সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেছি। প্রদ্যুৎ এদিন পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদকে নিশানা করে বলেন, জনজাতিদের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা থাকলে রেবতী ত্রিপুরার উচিত উচিত আমরা বাঙালি-কে চ্যালেঞ্জ জানানো। তা না করে তিনি তিপ্রা-র সমালোচনা করে চলেছেন।
শেষ পর্যন্ত তিনি দাবি করেন, যারা তাঁর নাম ব্যবহার করছেন তাদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। তিপ্রা এবং একতার বিপক্ষে যারা যাবে তাদের যথাসময়ে জবাব দেওয়া হবে। তার সাফ কথা, গ্রেটার টিপ্রাল্যান্ড-এর দাবি সকল তিপ্রাসার মানুষের জন্য। তাতে, ১৯টি জনজাতি সম্প্রদায় এবং বাঙালি, মুসলমান, মণিপুরি এবং অন্যান্য রয়েছেন।