কলকাতা, ১ মার্চ (হি.স.) : শুরুতেই অ্যাপ বিভ্রাট। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১২টায় কোউইন-২ অ্যাপ চালু হয়েছিল। কিন্তু বেলা ২টো না বাজতেই বসে গেল অ্যাপ। ফলে আমজনতার প্রথমদিনের টিকাকরণ শুরুতেই হোঁচট খেল।
সোমবার শুরু হয় আমজনতার করোনার টিকার নথিভুক্তিকরণের কাজ। কথা ছিল সকাল ৯ থেকে এই সুবিধা দেওয়ার৷ কিন্তু কাজ শুরু হতে ১২টা বেজে যায়। ষাটোর্দ্ধরা নিজের নাম লেখাতে শুরু করেন। ৪৫ থেকে ৫৯ বয়সি, যাদের অন্য কোনও নির্দিষ্ট (কো মর্বিডিটি) রোগ রয়েছে, তাঁরাও এই সুযোগ পাচ্ছেন৷
কেন্দ্রের দাবি, করোনার বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই ও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এবার টিকাকরণ আরও সহজ হল সাধারণ মানুষের কাছে৷ সরাসরি কোউইন ২.০ অ্যাপে নাম লিখিয়ে টিকা পাবেন তাঁরা৷ নির্দিষ্ট বয়স ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী একে একে টিকার ডোজ পাবেন তাঁরা৷ এর জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে কোউইন ২.০ বা আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে৷
দিনের এক নির্দিষ্ট সময় ধার্য করা হয় নাম নথিভুক্তির জন্য৷ সকাল ৯ থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে নাম লিখতে হবে৷ যে দিন প্রথম টিকা পাওয়ার দিন ধার্য হবে, তার ২৯ দিন পরই থাকবে দ্বিতীয় টিকা পাওয়ার দিন৷ তবে কেউ যদি প্রথম টিকাটি না নেন, তাহলে তাঁর দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার দিনও বাতিল হবে৷
এদিন, কলকাতার ১০টি বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৪৫ থেকে ৫৯-এর মধ্যে থাকা কো-মর্বিডিটির রোগীদের টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন ভায়াল পৌঁছলেও সিরিঞ্জ আসেনি। বিশেষ ধরনের টি-সিরিঞ্জ দিয়ে টিকাকরণের কথা। যা একবার ব্যবহারের পরই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সিরিঞ্জ না আসায় নাজেহাল হতে হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, বিষয়টি জরুরি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানানো হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৬ জানুয়ারি গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু টানা দেড়মাস এই অ্যাপই ভুগিয়েছে স্বাস্থ্যদফতরকে। দফায় দফায় অ্যাপ বিভ্রাটে বিঘ্নিত হয়েছে টিকাকরণের কাজ।
অ্যাপ ছাড়াও টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে নিজের নাম লেখানোরও সুযোগ থাকছে৷ তবে এর জন্যও কোউইন ২.০ অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ এক ব্যক্তি বা একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বাধিক ৪ জনের নাম নথিভুক্ত করা যাবে৷ তবে সকলেরও আলাদা পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে৷
সরকারি কেন্দ্রে টিকাকরণ হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে৷ বেসরকারি কেন্দ্রে মাত্র ২৫০ টাকা লাগবে টিকার জন্য৷ এই টাকা ন্যাশনল হেল্থ অথরিটির কাছে পৌঁছে যাবে৷ অনলাইন প্রদানের সময় সেটা স্পষ্ট হবে গ্রাহকদের কাছেও৷
রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন বিনামূল্য দিয়েছে কেন্দ্র৷ এর পরের ধাপে ষাটোর্ধ্ব এবং শারীরিক সমস্যা রয়েছে এমন ৪৫-৫৯ বয়সিরা এবার টিকার সুবিধা পাবেন৷

